বর্তমানে টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন গৌরব চ্যাটার্জী। তবে বাংলার সিনেমাপ্রেমী দর্শক তাকে চেনেন মহানায়কের নাতি হিসেবে। উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর এতগুলো বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও তার জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি কোন টলিউড অভিনেতা। আগামী ১০০ বছরে উত্তম কুমারকে টেক্কা দিতে পারে এমন অভিনেতা আসবে বলেও মনে হয় না। আর সেই উত্তম কুমারের নাতিরই কিনা একসময় অর্থাভাব হয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গৌরব সে কথা জানিয়েছেন।
গৌরব চ্যাটার্জীকে এই মুহূর্তে স্টার জলসার ‘গাঁটছড়া’ সিরিয়ালে ঋদ্ধিমান সিংহ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’ সিরিয়ালে মথুরা মোহনের ভূমিকায় দীর্ঘদিন অভিনয় করে দর্শকের মন জিতেছেন তিনি। এর আগে তিনি বড়পর্দাতেও বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
বর্তমানে এত জনপ্রিয় একজন অভিনেতা সেইসঙ্গে মহানায়কের নাতি কিন্তু একটা সময় ছিল যখন অর্থের অভাবে ভালো মন্দ কিছু খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্যে কুলোতো না তার। ছোটবেলার সেই দিনগুলো সম্পর্কে সম্প্রতি এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে কথা বলতে শোনা গেল গৌরবকে। গৌরবের কথায় অভিজাত পরিবারের সন্তান হলেও ছোটবেলায় শখ করে নিজের খেয়াল খুশিমতো টাকা ওড়ানোর অনুমতি তার বা তার ভাই বোনদের কারোর ছিল না।
একবার এক রেস্তোরাঁতে খেতে গিয়ে সবার সামনে রীতিমতো লজ্জিত হতে হয়েছিল তাকে। পুজোর সময় ভাই-বোনদের সঙ্গে রেস্তোরায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পর বিল দেখে তাদের মাথায় হাত পড়ে যায়। এদিন গৌরব বলেন, “তখন আমাদের সকলের কাছেই খুব কম থাকা থাকত। যেটুকু বাড়ি থেকে হাত খরচ পেতাম আর কী। সে সময় সদ্য ৫ টাকার কয়েন বেরিয়েছিল। আমি জমাতাম। ব্যস এইটুকুই।”
এরপর গৌরব বলেন, “একসঙ্গে ভাই-বোনেরা মিলে খেতে গিয়েছিলাম। খাবার শেষে বিল দেখে সবার মাথায় হাত। কারণ কারও কাছেই টাকা ছিল না। সবাই দাবি করেছিল আমি যদি আমার জমানো পাঁচ টাকাগুলো দিয়ে দিই। কিন্তু সেই টাকা দিতে আমি মোটেই রাজি ছিলাম না।” সেই মজার ঘটনার কথা মনে করে এদিন ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে দেখা যায় গৌরবকে।