নিজের ভুল বুঝতে পেরে শুভর কাছে ক্ষমা চাইলো সেবন্তী? গৃহপ্রবেশে জমে গেছে নাটক!

‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh) স্টার জলসার একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক, যেখানে শুভ ও আদৃতের প্রেমের গল্প দর্শকদের মন জয় করেছে। নানা চক্রান্ত, পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও সম্পর্কের জটিলতার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে তাদের জীবনের কাহিনি। শুভর দৃঢ় চরিত্র ও আদৃতের সরলতা এই গল্পের মূল আকর্ষণ। প্রতিনিয়ত নতুন মোড় আসছে, যেখানে একদিকে শুভর লড়াই, অন্যদিকে আদৃতের প্রতি তার অটুট ভালোবাসা দর্শকদের আবেগে নাড়া দিচ্ছে। সিরিয়ালে বর্তমানে টানটান উত্তেজনা ‘শুভ’র মা হয়া নিয়ে।

বর্তমান এপিসোড এর শুরুতে দেখা যাচ্ছে শুভর ফাইফর্মাস কাটতে কাটতে রঞ্জিনী ও সেবন্তীর খারাপ অবস্থা। একদিকে সেবন্তী কোমর ব্যথায় নাজেরহাল অন্যদিকে রঞ্জিনী খাবার বানাতে বানাতে ক্লান্ত। সেবন্তী নিজের ঘরে একটু রেস্ট নিতে গেলে সবার চিৎকার শুনে নিচে নেমে আসে আর বন্ধ করতে বলে। সেখানে সে জানতে পারে শুভর একের পর এক অর্ডারে নাজেরহাল সবাই। রঞ্জিনী বলে, “দিদিভাই, শুভকে জব্দ করার প্ল্যানটা তোমার ছিলো আর খেটে খেটে মরছি আমরা। আর তুমি এখন আমাদের ফেলে পালিয়ে যাচ্ছ”। এমন সময় শুভ উপর থেকে ডাকতে থাকে রঞ্জিনীকে।

Grihoprobesh, Star jalsha, shubhlakshmi, subha-adrit, new episode. গৃহপ্রবেশ, স্টার জলসা, শুভলক্ষ্মী, শুভ-আদৃত, নতুন পর্ব, বাংলা সিরিয়াল।

রঞ্জিনী সেখানে গেলে শুভ বলে, “এখন আমার খুব খিদে পেয়েছে। স্যুপ খেতে ইচ্ছা করছে একটু বানিয়ে দেবে? রঞ্জিনী বলে, “হ্যাঁ কেন দেব না আমি এক্ষুনি নিয়ে আসছি”। এরপর স্যুপ বানিয়ে নিয়ে আসলে শুভ ইচ্ছা করে সেটা ফেলে দেয়। এমন সময় সেবন্তী সেখানে দেখতে আসলে শুভ বলে, “এটা তো এখন পরিষ্কার করতে হবে। আমি তো পারব না, মা আপনি একটু করে দেবেন?” কোন উপায় না দেখে সেবন্তী নিজে ঘর পরিষ্কার করতে থাকে। এরই মধ্যে আদৃত সেখানে উপস্থিত হয়। আর নিজে ঘর পরিষ্কার করতে চায় কিন্তু শুভ বাধা দিয়ে বলে, “মা যখন নিজে থেকে করতে চাইছে তখন মাকেই করতে দাও”।

মা কাকিমার শুভকে নিয়ে এত যত্ন ও ভালোবাসা দেখে আদৃত অনেক খুশি হয়। শুভকে সে বলে, “দিন কত তাড়াতাড়ি পাল্টায় না? সেইদিন আমাদের বিয়ে হল আর আজ আমাদের সন্তান আসতে চলেছে। মায়েদের তোমাকে নিয়ে এত যত্ন দেখে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে”।শুভ তখন বলে, “আমি সবসময় সবাইকে নিয়ে চলতে চেয়েছি আমি চাই এক পরিবার হয়ে বাঁচতে কারোর মধ্যে যেন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকে”।অন্যদিকে রোমিত বাড়ি ফিরে আসে। সে তুলিকে প্রপোজ করতে চায় কিন্তু দ্বিধাবোধ করতে থাকে এমন সময় শুভ থাকে দেখতে পেয়ে সাহস যোগায়।

আরও পড়ুনঃ ‘ইচ্ছে নদী’র নস্টালজিয়া উস্কে ফের পর্দায় ফিরছে বিক্রম-সোলাঙ্কি জুটি! কোন চ্যানেলে?

অবশেষে রোমিত তুলিকে একটা কানের দুল উপহার দিয়ে বলে দেয় যে সে তাকে ভালোবাসে। তুলি তখন বলে, “আমি একজন সামান্য এটেনডেন্ট আর তোমরা অনেক বড়লোক। আমাদের মধ্যে কি কোন সামঞ্জস্য আছে?” এর মধ্যে শুভ বলে, “আমি জানি তুমি অনেক পরিশ্রমী একটা মেয়ে। তুমি চাইলেই এই শহরে একটা কাজ ঠিক জুটিয়ে নিতে পারবে আর রোমিতও তোমাকে খুব ভালোবাসে”। এরপর রোমিতের দেওয়া কানের দুলটা নিয়ে তুলি সেখান থেকে চলে যায় হ্যাঁ, না কিছু বলে।শুভ ঘরে গিয়ে দেখতে পায় সেবন্তী আর রঞ্জিনী কোমর ব্যথায় কাতরাচ্ছে।

সে তখন বলে “আমি জানি আপনাদের একদিনে এত কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কাল থেকে আমিও আপনাদের হাতে হাত লাগাব এখন আপনাদের মলম মালিশ করে দিচ্ছি দেখবেন ব্যথা একদম কমে যাবে”। রঞ্জিনী খুশি হয়ে বলে “সত্যি তুই করবি”। সেবন্তী ও নিজের ভুল বুঝতে পেরে চুপ করে থাকে। শেষ সিনে রাতের বেলা দেখানো হয় শুভ ঘুমের মধ্যে হঠাৎই এক বাচ্চার মা বলে ডাক শুনতে পাচ্ছে। আর সারা ঘর জুড়ে তার পায়ের ছাপ দেখতে পাচ্ছে। প্রথমে সে স্বপ্ন ভাবলেও পরে সে বুঝতে পারে সে স্বপ্ন দেখছে না। এখানে পর্বটি শেষ হয়।