দেশে ফিরতেই দুর্ঘটনার কবলে আদৃত! কি করবে এবার শুভ? ‘গৃহপ্রবেশ’-এর আজকের পর্ব জমাটি

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক গৃহপ্রবেশ (Grihoprobesh)-এ বর্তমানে দেখানো হচ্ছে শুভর মা হওয়ার জার্নি। অন্যদিকে, শুভকে জব্দ করার সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে সেবিন্তীর। এরই মাঝে আদৃতকে ভারতে যেতে হবে একটি বড় ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প।

আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, শুভর ডেলিভারি ডেট এগিয়ে এসেছে, আর আদৃতের ভারত যাওয়ার সময়ও ঘনিয়ে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে শুভকে ছেড়ে আদৃত কিছুতেই যেতে চায় না। সে বিষয়টি নিয়ে দোটানায় পড়ে যায় এবং অবশেষে মিস্টার সেনকে ফোন করে। ফোনে মিস্টার সেন বলেন, “আপনি ভারত আসছেন তো? এখানে না এলে ডিলটা কিন্তু কোনোভাবেই সম্ভব নয়।” আদৃত আপত্তি জানালেও, তিনি কিছুতেই অন্য ব্যবস্থা নিতে রাজি হন না।

Grihoprobesh, Star jalsha, shubhlakshmi, subha-adrit, new episode, গৃহপ্রবেশ, স্টার জলসা, শুভলক্ষ্মী, শুভ-আদৃত, নতুন পর্ব, বাংলা সিরিয়াল

এরপর, আদৃতের মুখে চিন্তার ছাপ দেখে শুভ বলে, “তোমাকে কি যেতেই হবে? আমার কিন্তু বিষয়টা ভালো লাগছে না।” উত্তরে আদৃত বলে, “এই ডিলটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাবা বা কাকামনি যদি না যান, তাহলে আমাকে যেতেই হবে। কিছু করার নেই।” এরপর বাড়ির ঠাম্মি ও অন্যরা তাদের আশ্বস্ত করতে থাকেন যে সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। ঠাম্মি আদৃতকে বলেন, “জানো তো দাদুভাই, জীবনে সবকিছু আমাদের হাতে থাকে না। কখনো কখনো এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকি না।”

এরপর, আদৃত সেবিন্তীকে বলে, “মা, শুভর খেয়াল রেখো,” তারপর তাঁর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। সেবিন্তী আদৃতকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “তুই কোনো চিন্তা করিস না। আমি আছি তো, শুভর কোনো অসুবিধা হতে দেবো না।” এই কথা শুনে আদৃত কিছুটা স্বস্তি পায়। পরদিন সকালে বের হওয়ার সময় শুভ তাকে একটা সোনার চেইন উপহার দেয়, যার লকেটের মধ্যে দুজনের ছবি রাখা আছে। উপহার পেয়ে আদৃত আবেগাপ্লুত হয়ে বলে, “এবার দেশে গেলেও মনে হবে, তুমি সব সময় আমার সঙ্গে আছো।”

দেশ যাওয়ার আগে আদৃত বলে, “একবার নদীয়া ঘুরে আসব, নাতির জন্য দাদুর আশীর্বাদ নিয়ে আসবো।” এরপর সে ধীরে ধীরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, আর সবাই মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। শুভ তখন বলে, “যাচ্ছো বলো না, বলো আসছি!” এই দৃশ্যের পর রায় বাড়িতে সবাই হোলি খেলতে ব্যস্ত থাকে। খেলার সময় হঠাৎ শুভর মাথায় এমনভাবে রঙ লাগে যে তার সিঁদুর পুরো ধুয়ে যায়! এটা দেখে শুভ ভয় পেয়ে যায় এবং খারাপ চিন্তা করতে শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ “লখিন্দরের লক্ষ্মীলাভ”, চুপিসারে বিয়ের সারলেন পর্দার ‘লখিন্দর’ অর্কজ্যোতি পাল চৌধুরী’! কার গলায় মালা দিলেন?

অন্যদিকে, দেশে ফেরার পথে আদৃত শুভর কথা ভাবতে ভাবতে গাড়ি চালাচ্ছিল। আচমকা, তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়, আর মুহূর্তের মধ্যে গাড়িতে আগুন ধরে যায়! পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঠিক সেই সময়, শুভর লেবার পেন শুরু হয় এবং তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তের সঙ্গেই শেষ হয় আজকের পর্ব!

You cannot copy content of this page