আয়ান বিবাহিত জেনে মাথায় বাজ মোহনার! নদীয়ায় চেনা জায়গায় এবার মুখোমুখি হতে চলেছে শুভ আদৃত! ‘গৃহপ্রবেশ’ এর নতুন পর্বে মোহনার চোখে জল, জিনিয়ার নতুন চক্রান্ত!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh) -এ এবার নতুন জীবনের পথে শুভ এবং আকাশ। অতীতের যন্ত্রণা পেছনে ফেলে কেশবের প্রতি আকাশের মমতাকে বাবার পরিচয় দিয়ে শুভ এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাইছে। পরিবার চায় বিয়েটা হোক নিউইয়র্ক নয়, পুরনো শহর নদীয়াতেই—যেখানে একসময় শুভ-আদৃতের প্রেম ফুটেছিল। সেই স্মৃতিমাখা শহরে আবার বিয়ের প্রস্তুতি, তবে শুভর মনে এখনও রয়ে গেছে এক দ্বন্দ্ব। তবে কি পুরনো ভালোবাসার ছায়া কি মুছে ফেলবে নতুন সম্পর্কের আলোর ঝলক?

আজকের পর্বে দেখা যাচ্ছে একদিকে যখন রায় বাড়ির সবাই গোচগাছ শুরু করে দিয়েছেন নদীয়া যাবার উদ্দেশ্যে, শুভর হাতে আসে তুলির লেখা একটা চিঠি। চিঠিতে লেখা একটা ভালো সুযোগের সন্ধান পেয়ে তুলি কাউকে না জানিয়ে চলে গেছে, আর এই চিঠিটা লিখে গেছে। শুভ চিঠিটা পড়ে অবাক হয়ে যায় রীতিমত। সে বলে তুলি কখনোই ভয় পেয়ে পালানোর মেয়ে না, আরো নতুন কোন সুযোগ পেলে ও নিশ্চয়ই কাউকে জানাত এমন করে গা ঢাকা দিয়ে পালাতো না।

শুভ ভাবে আমাকে একটু সময় পর্যন্ত দিলো না তুলি। সুমিতের সাথে ওর বিয়ের কথাটা আমি আর কিছুদিনের মধ্যেই সবাইকে জানাতাম। কিন্তু সেটা আর বোধহয় হওয়ার না। সুমিত কে এ কথা জানাতেই ভেঙে পড়ে সুমিত। সে কিছুতেই বুঝতে পারে না, কেন তুলি এমন করল? কোন জিনিসপত্র বা লাগেজ ছাড়াই ও কোথায় কোন সুযোগের সন্ধানে গেল? সেই মুহূর্তেই আগমন ঘটে জিনিয়ার। কার্যতো পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে সে। এইবার তার চক্রান্তের শিকার সুমিত আর তুলি।

সে চায় তুলিকে সুমিতের জীবন দিয়ে পাকাপাকিভাবে সরিয়ে নিজে সেই জায়গায় বসতে। সে সুমিতকে বলে তুলি তো আর ফিরবে না, ও তোমাকে কোনদিনও ভালোবাসেনি। মনে মনে জিনিয়া বলে, “ভালয় ভালয় মিস্টার সেন আর শুভর বিয়েটা মিটে যাক, তারপর আমি সুমিত কে বিয়ে করে এই বাড়িতে চিরদিনের মত চলে আসব। শুভদিকে এখান থেকে তাড়াতে পেরে কি আনন্দ হচ্ছে কি বলবো!” এরপর সবাই মিলে নদীয়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে।

গ্রামের বাড়িতে এসেই আনন্দের বাঁধ ভাঙ্গে দাদু ঠাকুমার। চিনা বাড়ি চিনা অতিথি সমস্ত কিছু নিয়ে তারা খুব উচ্ছ্বসিত, শুধুমাত্র একটাই আক্ষেপ আদৃত আর নেই! শুভ বাড়ি ফিরে এসেছে দেখে তার বাবা দেখা করতে আসে সাথে কিছু পাড়া-প্রতিবেশীরাও আসে। আদৃত না থাকার খবরটা যেন তাদের কাছেও খুব বেদনাদায়ক। অন্যদিকে মোহনা আর আয়ান (আদৃত) ও চলে এসেছে নদীয়ায়। আকাশের মা ফোন করে জানতে চায় এখানে সবকিছু কেমন। মোহনা জানায় সব ঠিকই আছে শুধুমাত্র শুভদিনের অপেক্ষা।

আবারো আদৃতের শুভলক্ষ্মীর সাথে কাটানো স্মৃতি হালকা হালকা মনে পড়তে থাকে চেনা জায়গায় আসতেই। মোহনা বলে এমন করে উত্তেজিত না হতে, এতদিন যখন অপেক্ষা করেছে নিশ্চয়ই খুব তাড়াতাড়ি তার সব স্মৃতি মনে পড়বে। আদৃত বলে, “আর কত অপেক্ষা করব? আমার মনে হয় আমার জন্য কেউ একটা অপেক্ষা করছে হয়তো বা আমার স্ত্রী না হয় আমার চেনা কেউ।” এই কথা শুনে মোহনার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে! সে ভাবতে থাকে এতদিনে সে আয়ানকে নিজের মন দিয়ে ফেলেছে। এবার যদি আয়ান সত্যিই বিবাহিত হয় তার স্ত্রী থেকে থাকে তখন কি করবে সে?

অন্যদিকে শুভ আদৃতের ঘরে কেশবকে নিয়ে গিয়ে পুরনো খেলনা দেখিয়ে বলে এগুলো দিয়ে তোর বাবা খেলতো। সেবন্তী এসে শুভকে বলে এখন থেকে আদৃত নয়, আকাশের সমস্ত কিছু সাথে পরিচয় করাতে হবে কেশবকে। কারণ বড় হয়ে ও জানবে আকাশ ওর বাবা। বড় হয়ে যেন ও কষ্ট না পায় ভেবে, যে ওর বাবা ওর জন্মের আগেই মারা গেছে। এই কথা শুনে শুভ রীতিমতো রেগে যায় আর বলে আমি চাই আমার সন্তান তার আসল বাবার পরিচয় জানুক!

আরও পড়ুনঃ ইশারায় করলেন মন জয়! ‘চিরসখা’র সেটে মূক অনুরাগীর সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্ত অপরাজিতার! অভিনেত্রীর বিনয়ী ব্যবহারে আপ্লুত নেটিজেনরা

আকাশের প্রসঙ্গ অনেক পরে। এরপর শুভ সেবন্তীকে বলে এখানে কিছু জায়গায় তার আর আদৃতের অতীতে অনেক স্মৃতি ও সুন্দর মুহূর্ত কেটেছে, তাই সে বিয়ের আগে সেখানে একবার যেতে চায়। তার এই সিদ্ধান্তে যেন কেউ না বাধা দেয়! অন্যদিকে মোহনাকে কাজে ব্যস্ত দেখে আয়ানো জায়গাটা ঘুরে দেখতে বেরিয়ে পড়ে। এখানেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়। তবে কি এবার সত্যের মুখোমুখি হতে চলেছে শুভ? নিজের অতীতকে কি ফিরে পাবে আদৃত? জানতে হলে অবশ্যই চোখ রাখতে হবে স্টার জলসার পর্দায় ‘গৃহপ্রবেশ’ এর আজকের পর্বে।