মা হচ্ছে শুভ, খুশী হয়ে ছেলের বৌকে কী উপহার দিলো সেবন্তী? নাকি শুরু নতুন কোন‌ও ষড়যন্ত্র!

স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’, (Grihoprobesh) বর্তমানে টিয়ারপি তালিকায় বেশ ভালো পারফর্ম করছে। শুভ ও আদৃত একের পর এক সেবন্তীর প্ল্যান বানচাল করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের সম্পর্ককের এক ধাপ উন্নতি ও হয়েছে। গতকালের পর্ব অনুযায়ী শুভ মা হতে চলেছে। আর এই খবর, আদৃত এবং ঠাম্মি জানতে পেরে যায়। সেবন্তী অন্যদিকে শুভর সাথে ঝামেলা করার প্ল্যান করে।

আজকের পর্বের শুরুতে দেখা যাচ্ছে, তুলসী তলায় জল দিতে যায় শুভ। তখন সেবন্তী এসে তাঁর সাথে আবারও ঝামেলা জুড়ে দায়ে। এমন সময় শুভ বলে, “মা এখন থেকে আমি আপনার দেখানো পথেই হাঁটবো আর আপনাকে কিচ্ছু বলবো না”। সেবন্তী তখন ভাবতে থাকে এমন কেন বলছে শুভ। এমন সময় শুভ বলে ওঠে মা এখনও অবধি একটা খবর তো তোমায় দেওয়া হয়নি।

Grihoprobesh

এর মধ্যেই আদৃত এসে বলে, “মা আমি বাবা হতে চলেছি” বলে মিষ্টি খাইয়ে দেয়, এবং ঠাম্মি বলে, “আমাদের শুভ মা হবে এমন কপাল কত জনের হয় যে নাতির ঘরে পুতি দেখবে। তারপর বলে যাও বড় বৌমা তোমায় যে গলার হার টা দিয়েছিলাম ওটা নিয়ে এসো, ওটা এখন শুভর প্রাপ্য”। সেবন্তী বাইরে অনেক খুশি দেখলেও মনে মনে সে রাগে ফেটে পড়ে। মনে মনে সে ভাবে প্রেগনেন্ট হতে না হতেই শুভ তার থেকে সব কেড়ে নিচ্ছে।

এরপর হারটা এনে থামি ঠাম্মি কে পরিয়ে দিতে বলে। তারপর সেবন্তী, পূরবী ও অয়নাকে নিয়ে ঘরে আলোচনা করতে থেকে যে শুভ তাঁকে জব্দ করতেই এই সব করেছে, নাহলে বিয়ের এই কদিনের মধ্যে কেউ বাচ্চা নায়ে না। তারপর সেবন্তী বলে, “শুভ আমার সাথে যা করেছে এবার ও দেখবে আমি ওকে কিচ্ছু কাজ করতে দেব না, আর এভাবেই আমি ওকে জব্দ করব”। শুভ দূরে দাঁড়িয়ে সবটা শুনে ফেলে ভাবে মা আমাকে নিয়ে এতটা খারাপ ভাবে।

এরপর আদৃত শুভকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যায়। ডাক্তার বলে শুভ একদম ঠিক আছে তবে কিছু ওষুধ খেতে দায়ে অর বলে, “এখন থেকে তোমায় নিজের অনেক যত্ন নিতে হবে, মনে কোনো দুঃখ আনতে পারবে না। মনে রেখো তুমি ভালো থাকলেই বাচ্চাটা ভালো থাকবে”। ডক্টর এরপর বাচ্চার জেন্ডার জানতে চাইলে শুভ ও আদৃত আপত্তি করে। তারা বলে ছেলে বা মেয়ে যেই আসবে তাকেই আমরা সবটা দিতে আগলে রাখবো।

আরও পড়ুনঃ দেবা আর বেঁচে নেই! ভেঙে পড়লো আঁখি! দুই শালিকে ধামাকাদার পর্ব

বাড়ি ফিরে সবাইকে সবটা বলে আদৃত। সেবন্তী বলে, “আজ থেকে শুভ আর কোনো কাজ করবে না”। শুভ মনে মনে বলে দাঁড়াও মা এবার তুমি তোমার জালেই ফাঁসবে। রাত্রি বেলায় সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, শুভ সেবন্তীকে গিয়ে ডেকে তুলে বলে, “মা আমার ফুলকো লুচি আর আলুরদম খেতে ইচ্ছা করছে, আপনি বানিয়ে দিন না আমি তো রান্নাঘরে ঢুকতে পারবনা আপনি বলেছেন”। সেবন্তী নিজের জালে ফেঁসে গিয়ে রান্নাঘরে যায়। এখানেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।