“গৃহপ্রবেশ”-এ নতুন মোড়! শুভলক্ষ্মীর সিদ্ধান্ত কি বদলাবে আদৃতের জীবন?

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “গৃহপ্রবেশ” প্রতিদিন দর্শকদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসছে। শুভ, আদৃত ও আকাশের জটিল সম্পর্ক, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং কেশবকে ঘিরে আবর্তিত এই কাহিনি দর্শকদের মন জয় করেছে। আদৃতের স্মৃতিশক্তি হারানোর পর শুভর জীবনে নানা পরিবর্তন এসেছে। ঠিক তখনই আকাশ সেনের আগমন নতুন মোড় এনে দিয়েছে। কিন্তু শুভ কি সত্যিই আদৃতকে ভুলে নতুন পথে এগিয়ে যাবে, নাকি তার হৃদয় এখনও পুরনো ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা করছে?

গত পর্বে দেখা গেছে, আকাশ সেনের মা শুভ লক্ষ্মী, শুভর সঙ্গে ছেলের বিয়ের কথা তুলতেই পরিবারের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়। কেউ কেউ চায়, শুভ যেন নতুন জীবন শুরু করে, কারণ আদৃত স্মৃতিশক্তি হারানোর পর থেকে শুভ একাই সংসার, ব্যবসা এবং কেশবের দায়িত্ব সামলাচ্ছে। দাদু-ঠাম্মিরাও মনে করেন, শুভর জন্য একটা নতুন শুরু দরকার। তবে আদৃতের মা সেবন্তী কিছুতেই তা মেনে নিতে পারছেন না। বাড়ির সদস্যদের এই টানাপোড়েনে শুভ বেশ বিপাকে পড়ে যায়।

Grihoprobesh

গৃহপ্রবেশ আজকের পর্ব ৩১শে মার্চ (Grihoprobesh today episode 31st March)

আজকের পর্বে দেখা যাবে, আকাশের মায়ের প্রস্তাবের কারণে অস্বস্তিতে পড়েছে শুভলক্ষ্মী সেই কারণে আকাশের বাড়িতে পৌঁছোয় সে। সেখানে গিয়ে আকাশকে তা জানিয়ে দেয় যে তার জীবনে একটাই পুরুষ ছিল, আছে আর থাকবে এবং সেটিই আদৃত। এরপর শুভলক্ষী সেখান থেকে চলে যায় কিন্তু ভুল করে ফোনটা সেখানেই ফেলে যায়।

এরপরে ফোনটা এসে পরে আদৃতের হাতে সেই ফোনের ওয়ালপেপারে আদৃত এবং শুভলক্ষ্মীর ছবি ছিল। তবে এত কাছাকাছি এসেও আদৃত আসল সত্যিটা জানতে পারল না। সে ফোনটা শুভলক্ষীকে ফেরত দিতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। এরপর এসে ফোনটা এসে মোহনাকে দেয় এবং বলে শুভলক্ষ্মী তাঁর ফোন এখানে ফেলে গেছে সেটাই তাকে ফেরত দিতে গিয়েছিলেন আদৃত। এরপরে মোহনা বলে ফোনটা সাবধানে রেখে দিতে পরের দিন সে নিজে দেখা করে শুভলক্ষীকে সেটা ফেরত দেবে।

আরও পড়ুনঃ “১৫ বছর একই অল্টো চেপেছি, এখনকার প্রজন্ম শুরুতেই বিলাসবহুল গাড়ি কেনে!” বর্তমান প্রজন্মের অভিনেতাদের বড়লোকিয়ানা দেখে কটাক্ষ শাশ্বতর?

এদিকে সেবন্তী চিন্তায় পড়ে অনেকক্ষণ শুভলক্ষীকে ফোনে না পেয়ে, সে কোথায় গেছে কিছুই তাকে বলে যায়নি। কিছুক্ষণ পরে শুভলক্ষ্মী কেশবকে নিয়ে বাড়ি এসে ফিরলে সেবন্তী তাকে জিজ্ঞাসা করায় সে জানায় যে আকাশকে পরিষ্কারভাবে তাঁর উত্তর জানাতে গিয়েছিলো সে। তখনই সেবন্তীর ফোনে ফোন আসে মোহনার। সে শুভলক্ষীর সাথে কথা বলতে চায় এবং তাকে জানায় যে সে ফোনটা ফেলে গেছে। পুরোনো কোনো কথা না শুধু ফোনটা ফেরত দেবে এবং তার সাথে আলাপ করবে। এরপর শুভলক্ষ্মী রাজি হয়ে যায় দেখা করতে।

এরপর কি আদৃত ওরফে আয়ানের আসল পরিচয় জেনে যাবে মোহনা? শুভলক্ষী কি ফিরিয়ে আনতে পারবে আদৃতকে? যদি সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে আগামী পর্বগুলিতেই।