মান অভিমানের পালা শেষে এবার কাছে গুড্ডি-অঙ্কুশ! শুভ পরিণয় গুড্ডি-অঙ্কুশের! অবশেষে অনুজের স্মৃতি কি মুছে দিল গুড্ডি?
কিছুদিন আগেই দর্শকদের অবাক করে ‘গুড্ডি’তে (Guddi) এসেছিল এক নতুন ট্যুইস্ট। দীর্ঘ ১৮ বছর পর ফিরে আসে অনুজের মতো দেখতে হুবহু এক ব্যক্তি। প্রথমে গুড্ডি (Guddi) তাঁকে অনুজ ভাবলেও পড়ে সে বুঝতে পারে নতুন আসা ব্যক্তিটি অনুজ নয়, বরঞ্চ কোনও সন্ত্রাসবাদী। নতুন এই ব্যক্তির প্রথমে নাম জানা যায় অঙ্কুশ ভাটিয়া। সেই ব্যক্তিকে গুড্ডি নিজেই পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তারপর সেই গুড্ডি নিজেই তার হয়ে আদালতে লড়ে নির্দোষ প্রমাণিত করে। উল্লেখ্য, স্টার জলসার জনপ্রিয় ও চর্চিত ধারাবাহিক হল ‘গুড্ডি’।
অনুজের মৃত্যুর পর ‘গুড্ডি’ বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা যায়। তবে বর্তমান পর্ব দেখে অনেকেরই ধারণা যে ‘গুড্ডি’র এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। ধারাবাহিকের প্রথম থেকে যাকে নায়ক বলে মনে করা হয়, তাঁর মৃত্যু দিয়ে সেই চরিত্রের এন্ট্রি টেনেছেন অনেকদিন। আর সেই নায়কের স্থানে কাকে বসানো হবে তাই নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন উঠেছিল। এরপরই ‘গুড্ডি’ নিয়েছে বড় লিপ। ‘গুড্ডি’র গল্প এগিয়ে গেছে ১৮ বছর।
নতুন রূপে ফিরে এসেছে গুড্ডির মেয়ে রেশমি ও অনুজের ছেলে পুবলু। ভালো নাম ঋতাভরী ও ঋতুরাজ। মজার ব্যাপার এই দুই চরিত্রে আবারও ফিরে এসেছে গুড্ডি অর্থাৎ শ্যামৌপ্তি মুড়লী ও অনুজ অর্থাৎ রণজয় বিষ্ণু। একই তারকা অভিনয় করছেন এখন ঋতুরাজ ও ঋতাভরীর চরিত্রে। অর্থাৎ ঋতাভরী ও ঋতুরাজ নাম নিয়ে তাদের আবার নতুন গল্প শুরু। এই জুটিকে বেশ পছন্দ করছেন দর্শক।
তবে ফের গুড্ডিতে একই বিরক্তিকর পর্ব ফিরে এল। আবার গুড্ডির লাইফে ফিরে এল অনুজের মতো দেখতে আরেক ব্যক্তি অঙ্কুশ। প্রথমে জানা যায়, সে সন্ত্রাসবাদীর হয়ে কাজ করে। কিন্তু এরপর গুড্ডি অঙ্কুশকে খুনের দোষারোপ থেকে মুক্ত করে গুড্ডি। আদালতে অঙ্কুশকে নির্দোষ প্রমান করলে নিজের বাড়ি নিয়ে আসে গুড্ডি। এরপর গুড্ডি সিদ্ধান্ত নেয় সে অঙ্কুশকে বিয়ে করবে। দুজনেই বিয়ের প্ল্যানিং শুরু করে।
কিন্তু পুবলু ও রেশমি কেউ চায় না যে গুড্ডি বিয়ে করুক। বারংবার অঙ্কুশকে সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেয় তারা। একসময় অঙ্কুশেরও মনে হয় তার জন্য গুড্ডি সকলের কাছে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই সে গুড্ডিকে ছেড়ে চলেযায়। তবে পরে ফের সমস্ত রাগ-অভিমান ভুলে এক হয় তারা। অনুজ না থাকলেও অঙ্কুশের সঙ্গে গুড্ডির বিয়ের হতে দেখে খুব খুশি গুড্ডি ভক্তরা। আবার অন্যদিকে কিছু দর্শক এটাকে আদিখ্যেতাও বলেছেন। নাতি-নাতনি দেখার বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত যেন মেনে নিতে পারছে না কিছুজন।