ধারাবাহিক মানেই এক একটা যাপন। সেই গল্পগুলো মানুষদের নিজেদের রসদ হয়ে যায়। আবার ওই ধারাবাহিকগুলো এক একটা জুটি নিজেদের মধ্যেই বেশ প্রিয় হয়ে ওঠে। সেই জুটিগুলোর কষ্ট তাঁদের কষ্ট হয়ে যায়, তাঁদের আনন্দগুলো নিজেদের হয়ে যায়।
প্রত্যেকটা ধারাবাহিকেই নায়ক নায়িকাদের বিচ্ছেদ লেগেই থাকে। সেই বিচ্ছেদেও তাঁরা কেঁদে ওঠেন। আর মিলনে আনন্দাশ্রু বইয়ে দেন। সেই জুটিগুলো এতটাই ফেমাস হয়ে যায় যে অনুরাগীরা এক একটা ডাক নাম দিয়ে দেন সেই জুটিগুলোর।
এই ডাক নাম দেওয়া একটা রীতির মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে। নতুন ধারাবাহিক শুরু হলেই সিরিয়াল প্রেমীরা নাম খুঁজতে থাকেন। এই যেমন এই মুহূর্তে বাংলার সব থেকে বেশি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল মিঠাই। সেখানে মিঠাই আর সিদ্ধার্থের জুটিকে দর্শকরা ভালোবাসে, “সিধাই” নাম দিয়েছেন। আবার বহু পুরনো একটি ধারাবাহিক কড়ি খেলা ধারাবাহিকের অপূর্ব ও পারমিতা জুটিকে “অপমিতা” নাম দিয়েছিলেন।
তেমনই দর্শকরা নাম দেওয়ার চেষ্টা করলেন গুড্ডি ধারাবাহিকের। দর্শকরা মুখ্য চরিত্রের একটি ডাক নাম দেওয়ার চেষ্টা করলেন। হ্যাঁ গুড্ডি সেই ধারাবহিক যে ধারাবাহিক খ্যাত বিয়ের মণ্ডপে নিজেকে নিজেই সিঁদুর পড়ানোর জন্য। এই বিয়ের দৃশ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এককালে কম তোলপাড় হয়নি। সেই ত্রিকোণ প্রেম। চরিত্রগুলো হল, অনুজ, গুড্ডি আর শিরিন। এই অনুজকে নিয়ে গুড্ডি, শিরিনের টানাটানির শেষ নেই।
পরে যদিও বিয়ে নিয়ে এক পোস্ত টানাটানি ঝগড়া ঝাটি হয়ে যায়। সেখান থেকেই গুড্ডি বিয়ে করে যুধাজিতের সঙ্গেই তাঁরা পাল্লা ভারী হয়। এই যুধাজিতকে বিয়ে সময়ই বিখ্যাত দৃশ্য হচ্ছে গুড্ডির নিজেকে নিজে সিঁদুর পড়ানো। আর এইসবের মাঝেই এই জুটিকে নিয়ে বেশ ট্রল হয়। আর এবারে তাঁদের ডাকনামটা শুনেও তো দর্শকদের হাসির ছটা লেগে গেল। এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার লিখেই ফেললেন, “গুড্ডি + যুধাজিৎ = গুৎ”। ব্যস, তারপর থেকে আর হাসি আটকায় কে! এর আগে দর্শক গুড্ডি + অনুজ= “#গুনুজ” উপহার দিয়েছে তাদের। এবার নতুন জুটির পালা।