জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri new episode)। ধারাবাহিকটি কেন্দ্রীয় চরিত্র জ্যাস সান্যাল ওরফে জগদ্ধাত্রী। মেনন হামলার ভুয়ো কেসে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বয়ম্ভুকে। ডিপার্টমেন্টে যার নামডাক, তার এরকম অবস্থা! বর্ণালীর বদলে স্টেজে ওঠে জ্যাস সান্যাল। জগদ্ধাত্রী ফোন করে জানতে পারে যে মেহেন্দি, উৎসব ওরা সব ঠিক আছে কিনা। কৌশিকী জানায়, উৎসব অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করছে। জগদ্ধাত্রী জানায় দিব্যা সেনকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে, এই কথা শুনে খুশি হয়ে যায় কৌশিকী।
কৌশিকী জগদ্ধাত্রীকে জানায়, তুমি সব কাজ সঠিক করো, তাই আমি তোমার পাশে সবসময় আছি। জগদ্ধাত্রী বাড়িতে ফিরলে বৈদেহী মুখার্জি তাকে বলতে থাকে। জগদ্ধাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। বৈদেহী মুখার্জি বলে, আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকতো আমি তোমাকে এক্ষুনি বাড়ি থেকে বের করে দিতাম। জগদ্ধাত্রী বলে, আমি কোন ভুল করেছি, আমি বাবাকে কথা দিয়েছিলাম আসল অপরাধীদের খুঁজে বার করবো।
উল্লেখ্য, এর মধ্যে হঠাৎই জগদ্ধাত্রীর শরীরটা খারাপ করতে শুরু করে। বলতে বলতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় জগদ্ধাত্রী। উৎসব বলতে থাকে পাপের শাস্তি পাচ্ছে এইভাবে। কৌশিকী সকলকে বলে ওর এই মাথাব্যথা অনেক দিনের। জগদ্ধাত্রীকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেববাবুর সাথে কথা বলার জন্য কাকলি দেবী জেলের মধ্যেই ফোনের ব্যবস্থা করেছে। কাকলি দেবী দেবুকে নিজের সব দোষ স্বীকার করে নিতে বলেন। আর নয়তো মেয়ের প্রাণের হুমকি দেয়। জগদ্ধাত্রী হাসপাতালে ভর্তি আর তার উপর নজর রেখেছে কাকলি দেবীর লোক।উল্লেখ্য,জগদ্ধাত্রীকে যে ডাক্তার দেখছে তার সাথে নাকি ম্যাডাম কথা বলবে বলে ডাক্তার কে ফোনে কথা বলায় কাকলি দেবীর সঙ্গে। কাকলি দেবী ওদিক থেকে নির্দেশ দেয় ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে হবে জগদ্ধাত্রীকে।কৌশিকী আড়াল থেকে সব শুনে নেয়। জগদ্ধাত্রী যাতে কোর্টে না যেতে পারে তার জন্যই কেউ ফন্দি আঁটছে বুঝে যায় কৌশিকী।
ধারাবাহিকের (Jagadhatri) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, জর্জ সাহেব কোর্টে প্রায় রায় দিয়ে দিয়েছিল। তখনই সেখানে পৌঁছায় জগদ্ধাত্রী। সে জানায় স্বয়ম্ভু সম্পূর্ণ নির্দোষ। উৎসব বৈদেহী মুখার্জিকে বলে সব শেষ হয়ে গেল। জগদ্ধাত্রী সম্পূর্ণ ব্যাপারটি জানাতে থাকে। গুন্ডাগুলোকে মেরে ফেলার সময় আর ইমেইল ঢোকার সময় আলাদা। দেবু বাবু কথা বলে জগদ্ধাত্রী। কিভাবে সে এই কাজটা করেছে সেটাও জানায়। কিভাবে ভুয়ো ইমেইল আইডি থেকে নতুন ফোন কিনে মেসেজ করা হয়েছে সে কথা জানায়। জর্জ সাহেব প্রমাণ চায়।
আরও পড়ুন: সুধার আঁচল টেনে ধরল তেজ বসু মল্লিক, কোথাও যেতে দেবে না তাকে, অভিমান সরিয়ে এক হচ্ছে তেজ-সুধা!
সব প্রমাণ নিয়ে কোর্ট কিছুক্ষণের জন্য বিরতিতে যায়। স্বয়ম্ভুকে শাস্তি পেতে দেবে না জগদ্ধাত্রী। কাকুলি দেবীর গুন্ডা দেব বাবুকে সব বোঝাতে থাকে। আসলে কোনটা বলবে, কোনটা বলবে না সেসব বলে। কাঠগোড়ায় ওঠার আগে জগদ্ধাত্রীর কাছে ক্ষমা চায়। এদিকে প্রীতি তার মেয়েকে নিয়ে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে দিতে গেছে, সেখানে গিয়েছে কাকলি দেবী ঠিক করা গুন্ডা। সবাই বুঝতে পারে দেবুকে হয়তো আর বাঁচানো যাবে না। কিন্তু দেব বাবু প্রথমে চুপ করে আছে কোন কথা বলছে না। মুখ খুলবে দেবু? কি হতে চলেছে জানতে হলে দেখতে হবে জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকটি (Jagadhatri)