জি বাংলার সবথেকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই আর সবথেকে বেশি বিতর্কে থাকেও এই সিরিয়াল। মন ফাগুন শেষ হয়ে যাওয়ার পর সাধারণত বিতর্ক তৈরি করার সিরিয়াল বলতে রয়েছে একমাত্র মিঠাই তবে মন ফাগুন শেষ হয়ে গেলেও থেকে গেছে এই ধারাবাহিকের টক্সিক ফ্যানবেস।
গত দুদিন ধরে মিঠাইয়ের ফ্যানরা খুব সম্ভবত শন ব্যানার্জিকে অপমান করেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় আর তার পাল্টা বদলা হিসাবে মন ফাগুন ভক্তরা যা শুরু করেছেন তা বলার নয়। মিঠাই হাত উঁচু করে একটা পোস্ট দিয়েছিল একদিন সেখানে তার শাড়ির আঁচল সরে গেছে আর উর্ধাঙ্গের অনেকটাই দৃশ্যমান যদিও ব্লাউজ পরা। এই ছবিটা দিয়ে একজন কমেন্ট করেছেন যে কেন কীভাবে টপার হয় সেটা এবার বোঝা যাচ্ছে। বুঝতে পারছেন তাহলে জলসার ভক্তরা ঠিক কতটা নোংরা মানসিকতার। মিঠাই ফ্যানরা সৃজলাকে অপমান করতে পারে কিন্তু কোনদিনও এটা বলেনি যে সৃজলা শরীর দেখিয়ে সিরিয়াল টেনেছে।
এ তো গেল অন্য বিতর্ক। আজকের এপিসোডে গণেশ পুজোয় রাতুল সিডিকে সিঁদুরের টিকা পরিয়েছে। আর সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে সমকামিতা বিতর্ক। রাতুল আর সিদ্ধার্থ নাকি সমকামী, মিঠাই দেখা বয়কট করতে হবে। এটা ঠিক কোন গ্রহের দাবি সেটা কেউ বুঝতে পারছে না কিন্তু যেভাবে গোটা ঘটনাকে প্রেজেন্ট করা হচ্ছে সেটা খুবই নিন্দনীয় ব্যাপার। আদৃত আর উদয় বাস্তব জীবনে খুবই ভালো বন্ধু আর তাদের সেই ছবি নিয়ে উল্টোপাল্টা সব ক্যাপশন দিয়ে আপলোড করা হচ্ছে।
এই জিনিসটা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত এবং সিরিয়াল নির্মাতাদের এরকম পোস্ট চোখে পড়লে, সঙ্গে সঙ্গে স্টেপ নেওয়া উচিত। ধারাবাহিক ধারাবাহিকের মতো দেখাই উচিত সেখানে ব্যক্তিগত জীবন এবং অন্য সম্প্রদায়কে আক্রমণ করা কখনোই উচিত নয়।
মিঠাই ধারাবাহিকের টিআরপি নিয়ে প্রবলেম তাই মিঠাই ধারাবাহিকের এপিসোড নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা হোক কিন্তু একটা দৃশ্যকে এরকম নোংরা ভাবে উপস্থাপনা করার অধিকার তো প্রতিপক্ষ চ্যানেলের ভক্তদের নেই তাই না? মিঠাই ফ্যানদের এবার একত্রিত হওয়া উচিত এই বিষয়ের বিরুদ্ধে।