Balijhor: “নিজের বাবার সম্মানটা এইভাবে ডুবিয়ে দিতে পারল?”, বালিঝড় ধারাবাহিকের এক একটা কাণ্ড দেখে রীতিমতো ছি ছি দর্শকদের!

পরকীয়া, ত্রিকোণ প্রেম সব মিলিয়ে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক “বালিঝড়”। শুরু থেকেই বেশ ভালোমতো টি আর পি কুড়িয়ে নিচ্ছে। কিন্তু মাঝে মধ্যেই এই ধারাবাহিক নানা প্রকার বিষয় নিয়ে বিতর্কে থাকে। প্রথমত এই ধারাবাহিকের অন্যতম বিতর্ক হল যে নায়ক আদৌ কে?

ধারাবাহিকটির মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন তৃণা সাহা, ইন্দ্রাশিষ রায় ও কৌশিক রায়। ঝোরার দিক দিয়ে প্রথম থেকেই ত্রিকোণ প্রেমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রথমে দর্শকরা ভেবেছিল ঝোরা বিয়ে করলে কাকে বিয়ে করবে?

অবশ্য সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে ঝোরা নিজেই ঘটিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে ঝোরা আর যাই হোক, মহার্ঘ্যকে ভালোবাসে না। কিন্তু বাবার কথাকে সে এড়াতে পারেনি। নিজের মতের বিপরীতে গিয়ে ভাঙা মন নিয়েই মহার্ঘ্যের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে ঝোরা। এদিকে আবার বিয়ের দিন কনে সাজেই পালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে প্রোমোতে।

আর এই নিয়ে একদল দর্শকদের বহু কিছু চোখে লেগেছে। আসলে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বাইরে করলে সত্যিই বাড়ির লোকজন ভীষণ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। আর তাতে বেশ ভালোরকম সম্মানহানীও হয়। আর সেই নিয়ে বেশ কয়েকজন নিন্দাই করেছেন।
balijhar

একজন তো ক্ষোভের বসে লিখেই বসলেন, “ঝোরার মতো সন্তান যেন কোন মা বাবার না হয়। বাড়ি ভর্তি অতিথি আর মেয়ে বাবার মুখে চুনকালি মাখিয়ে পালিয়ে গেল বিয়ের আসর ছেড়ে। সমুদ্র সেন হয়তো কঠোর বাবা কিন্তু সে নিজের মেয়ের ভালোর কথা ভেবেই বিয়ে দিতে চেয়েছিল।”

balijhar

তিনি আরও লেখেন, “শেষের কয়েকদিন বিশ্বাস করে ছিলেন মেয়েকে। প্রত্যেক বাবাই চায় তার মেয়ে রাজ রানী হয়ে থাকুক বিয়ের পর বাবা হিসেবে এই চাওয়াটা ভুল না”।

এছাড়া দর্শকদের আরও মন ভেঙেছে সমুদ্র সেনের একটি কথায়। কারণ তিনি একবার বলেছিলেন, “ঝোরা এভাবে আমাকে ঠেকাতে পারল?” দর্শকদের নিজেদের দাবি এই কয়েকবছরের ভালোবাসা কি ছোটো থেকে বড় করা বাবার থেকেও বড়? তারওপর স্রোতের ব্যবহারও ঝোরার প্রতি খুব একটা ভালো নয়। এরকম একটা ছেলের জন্য যে নিজের বাবার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিল, এতে বেশ খারাপই লেগেছে দর্শকদের।