সান বাংলার জনপ্রিয় নন ফিকশন শো ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ ইতিমধ্যেই বাংলার ঘরে ঘরে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। মহিলাদের স্বপ্ন, সাহস আর আত্মনির্ভরতার গল্পকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এই শো এখন পৌঁছে গিয়েছে সিজন টু তে। দর্শকের বিপুল ভালোবাসার জেরে নতুন রূপে আরও বড় আকারে ফিরেছে এই অনুষ্ঠান। দেখতে দেখতে এসে গিয়েছে সিজন টু এর মাসিক ফাইনাল, আর সেই বিশেষ পর্বে অতিথি হিসেবে থাকছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জোজো, যাঁর উপস্থিতি ঘিরে দর্শকের উত্তেজনা তুঙ্গে।
শোতে এসে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন জোজো নিজেই। তাঁর কথায়, এই মঞ্চে আসতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি। শোতে অংশগ্রহণকারী লক্ষ্মীদের সংগ্রাম আর সাহস তাঁকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করেছে বলে জানিয়েছেন গায়িকা। বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে এই অনুষ্ঠান, এমনটাই মনে করেন তিনি। সুযোগ পেলেই শোটি দেখেন বলেও জানিয়েছেন জোজো। এত মানুষের কাছে এই অনুষ্ঠান পৌঁছে গিয়েছে দেখে তাঁর মন ভরে গিয়েছে। মাসিক ফাইনালে লক্ষ্মীদের জীবনযুদ্ধের গল্প শুনবেন তিনি এবং সেই সঙ্গে থাকবে তাঁর বিশেষ সঙ্গীত পরিবেশন।
সিজন টু এর মাসিক ফাইনাল হতে চলেছে হাসি আনন্দ আর আবেগে ভরপুর। বিজয়িনীর হাতে উঠবে দুই লক্ষ টাকার পুরস্কার। পাশাপাশি দর্শক শুনবেন বিভিন্ন লক্ষ্মীর জীবনের লড়াইয়ের গল্প, যা মন ছুঁয়ে যাবে সহজেই। এই বিশেষ পর্বে জোজো গাইবেন জনপ্রিয় হিন্দি গান, যার মধ্যে থাকবে দম মারো দম এবং হরি ওম হরি। তাঁর কণ্ঠে এই গানগুলি শোনার অপেক্ষায় ইতিমধ্যেই মুখিয়ে আছেন দর্শকরা। আগামী একত্রিশে ডিসেম্বর সন্ধে ছটা নাগাদ সান বাংলায় দেখা যাবে এই বিশেষ ফাইনাল পর্ব।
‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ এ অংশ নিতে পারেন বাংলার সব মহিলাই অডিশনের মাধ্যমে। বর্তমানে পাঁচটি রাউন্ডে খেলা হয় এই শোতে এবং প্রতিটি রাউন্ডের শেষে প্রতিযোগীদের জন্য থাকে নগদ অর্থের পুরস্কার। ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়িনীর জন্য থাকে এক লক্ষ টাকার পুরস্কার। এখন প্রতি পর্বে চারজন করে মহিলা প্রতিযোগী অংশ নেন এবং কেউই খালি হাতে ফেরেন না। নতুন ফরম্যাটে যুক্ত হয়েছে টাকার খনি, বল ফেলতে টাকা কুলো এবং টাকার গদি নামের মজার সব খেলা।
আরও পড়ুনঃ “রাজনীতি করতে গেলে রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনা জানতে হয়, শুধুমাত্র মঞ্চে দাঁড়ালেই হয় না”- অকপট স্বাগতা মুখার্জি! অভিনেত্রীর বক্তব্যেই কি প্রশ্নের মুখে পড়ল বঙ্গ-তারকাদের রাজনৈতিক ভূমিকা?
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এই শো শুধুই একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং মহিলাদের স্বপ্নপূরণের এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। তিনি নিজেই বহুবার জানিয়েছেন, এত নারীর সংগ্রামের গল্প শুনতে শুনতে জীবনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছে। মাঝে মাঝেই শোতে আসেন বিভিন্ন তারকা, যাঁদের জেতা টাকা জমা হয় লক্ষ্মী ব্যাঙ্কে। সেই টাকা দিয়েই সাহায্য করা হয় কয়েকজন লড়াকু লক্ষ্মীকে। দেড় ঘন্টার এই অনুষ্ঠান প্রতিদিন সন্ধে ছটায় সান বাংলায় সম্প্রচারিত হয়।






