বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রসৈকতে বিকিনি পরে ছবি দিলেন সহচরী কনীনিকা ব্যানার্জি! ‘পুরো জলহস্তী দাঁড়িয়ে রয়েছে মনে হচ্ছে’, নোংরা ট্রোলের শিকার অভিনেত্রী
মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে ততই যেন তাদের অসভ্যতা বেড়ে যাচ্ছে। অথবা মানুষ অসভ্য হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া আসাতে সেটা প্রকাশ হয়ে পড়ছে। বেশ কিছু মানুষ আছেন যারা ফেসবুকে ইনস্টাগ্রামে অন্যকে অপমান করতে খুব ভালোবাসেন এবং কিছু কটু কথা শুনিয়ে ভাবেন খুব মহান কাজ করে ফেললাম।সেলিব্রিটিদের ফটো কমেন্ট বক্সে তো নোংরামো ছড়াছড়ি কারণ যারা কমেন্ট করেন তারা মনে করেন যে সেলিব্রিটিকে দুটো কথা শোনালাম কিন্তু উনি তো আর পাল্টা জবাব দেবেন না।
আজ কিছুক্ষণ আগে আবার নোংরা ট্রোলিং এর শিকার হলেন অভিনেত্রী কনীনিকা ব্যানার্জি।বর্তমানে তাকে আমরা দেখতে পাচ্ছি স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক আয় তবে সহচরীতে। তবে বেশ কিছুদিন সই কি আমরা দেখতে পাচ্ছি না পর্দায় তার কারণ কনীনিকা এখন নিজের বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরতে গেছেন উড়িষ্যার গোপালপুরে।সেখানে সমুদ্র সৈকতের তীরে দাঁড়িয়ে তিনি বেশ কিছু ফটো পোস্ট করেছেন বান্ধবীদের সঙ্গে যেগুলো বর্তমানে তুমুল সমালোচনার শিকার হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আমরা সকলেই জানি কনীনিকা ব্যানার্জি তথাকথিত রোগা নায়িকা নন। যে বান্ধবীরা তার সঙ্গে গেছেন তারাও স্বাস্থ্যবতী।সকলেই সুইমিং কস্টিউম পরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং এর জন্যেই কিছু লোকের প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। তারা যাচ্ছেতাই অপমান করছে কমেন্ট বক্সে।
একজন লিখেছে বাবারে কতগুলো জলহস্তী পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। আরেকজন লিখেছেন কী ভয়ানক মাগো। আরেকজন আবার লিখেছেন, ওমাগো!!এক একজন তো রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা খাম্বা। পা তো নয় যেন কলাগাছের থোড়া। কি আক্কেলে এমন পোজে দাঁড়ায়!!মজার বিষয় হলো জানা লিখেছেন তারা কিন্তু প্রত্যেকেই মহিলা। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে এখনো মহিলারাই কিন্তু মহিলাদের শত্রু।
তবে বেশ কিছু নেটিজেন এর প্রতিবাদ করেছেন। তারা বলছেন যে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে কনীনিকা তো আর শাড়ি পরবেন না। চলতি বছরেও দাঁড়িয়ে কেউ যে এইভাবে বডি শেমিং করতে পারে তা ধারণার বাইরে। মানুষকে আমরা আজও ভাবি তার চেহারা আর সৌন্দর্য গায়ের রং দিয়ে। তার মনটাকে আমরা দেখিনা। এই সমাজ আর কবে বদলাবে? প্রশ্ন ঘুরছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মধ্যে।