স্টার জলসার(star jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো কথা(Kotha)। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সকলে যখন গোপালের দুধ খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত তখন গোপালের বাঁশি চুরি হয়ে যায়, কিন্তু বাঁশিটা যে চুরি করে সে তো নিমিত্ত মাত্র, তার পিছনে বড় যে মাথাটা কাজ করছে তাকে খুঁজে বার করতে চায় কথা , অগ্নিভ ও প্রত্যয় আর এই নিয়েই চলছে গত কয়েক দিনের পর্ব।
২ September kotha full episode\কথা ২ সেপ্টেম্বর পুরো পর্ব:-
কথা ভাবতে থাকে, তিলক যেন সত্যিটা স্বীকার করে না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে আসল অপরাধীর নামটা জানা যাবে না। অন্যদিকে অগ্নিভ কথাকে আশ্বস্ত করে বলে,এত কিছু ভাবিস না, আমি তো আছি তোর সাথে। উত্তর ঠিক কিছু না কিছু পাওয়া যাবে। অন্যদিকে তিলক ভাবতে থাকে আমি যদি ধরা পড়ে যায়, তাহলে আসল অপরাধীর নাম বলে দেব।
অন্যদিকে দেখা যায় প্রান্তিক যে গুন্ডাটাকে পাঠিয়েছিল সেই গন্ডাটা ফোন করে বলে আমি দেখতে পেয়ে গেছি ঐ তিলককে! এবার অ্যাকশান নেব। প্রান্তিক তখন বলে, সাবধানে কেউ যেন জানতে না পারে। গুন্ডাটা তখন বলে চিন্তার কিছু নেই আমি সবদিক ভেবেই করছি। এরপর দেখা যায় তিলককে ইঞ্জেকশন দিয়ে গুন্ডাটা বেরিয়ে যায় আর কথা সেটা দেখে ফেলে কিন্তু তাড়াহুড়োর মুখে সে গুন্ডাটাকে ধরতে পারে না।
এরপর প্রত্যয় বলে, তিলকের আবার কী হলো! তিলক তখন ছটফট করতে থাকে আর প্রত্যয় অ্যাম্বুলেন্স ডাকে। প্রত্যয়কে গুন্ডাটা ফোন করে বলে কাজ হয়ে গেছে আর ম্যান্ডি তখন ভাবে এই ভাবে যদি কথাকেও শেষ করা যেত তাহলে ভালো হতো। কিন্তু কথাকে শেষ করাও যাচ্ছে না আর আমিও অগ্নিকে পাচ্ছি না,তখনই মান্ডবীকে চুপ করতে বলে চিত্রা।
এরপর প্রান্তিক বলে, কী ব্যাপার বলুন তো চিত্রা দেবী? বাঁশিটাকে নিয়ে তিলক এত উঠে পড়ে লেগেছিল কেন? তাহলে কি বাঁশিতে অন্য কোনও গল্প আছে? প্রত্যয় থেকে শুরু করে অগ্নিভ, কথা কেও বুঝতে পারে না যে কোথা থেকে কী হয়ে গেল এত প্রোটেকশনের মধ্যেখানে কী করে একটা লোক এসে তিলকের ক্ষতি করে দিয়ে চলে গেল! চিত্রা ভাবে,আদৌ কি তিলক প্যারালাইসিস হয়েছে কিনা আমাকে জানতে হবে।
ওদিকে হাসপাতালের ডাক্তার বলে যে ওকে এমন একটা ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে যাতে পুরো বডি প্যারালাইসিস হয়ে যায় আর সেটাই হয়েছে আর ও কবে সুস্থ হবে আদৌ হবে কিনা আমরা বলতে পারব না। এরপর সবাই বাড়ি চলে গেলেও কথা হাসপাতালে থেকে যেতে চায় আর তিলকের কাছে গিয়ে তিলককে ডাকতে থাকে।
আরও পড়ুন: অপারেশন করানোর আগে কান্নায় ভেঙে পড়লো রাই! আদৌ চিকিৎসা সফল হবে রাইয়ের? নাকি এটাই তার শেষ যাত্রা?
তিলক ভাবে আমাকে আসল কথাটা বলতে হবে কিন্তু সে তো বলতেও পারছে না, তখন কথা একটা খাতা নিয়ে এসে বলে,এখানে নামটা লিখে দিন। তখনই নার্সের ছদ্মবেশে থাকা চিত্রা কথা আর অগ্নিভকে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে বলে, তখন চিত্রার হাতে থাকা আংটি দেখে কথা ভাবে, এরকম হুবুহু আংটি তো মেজ মা পড়ে!