টিআরপি (trp) টানতে ধুন্ধুমার টুইছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকের গল্পে। পারিবারিক ড্রামা ঘরানার ধারাবাহিকের এই মুহূর্তে অন্যতম আকর্ষণ দীপার জীবনযুদ্ধ। ডাক্তারবাবুর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে যেন ঝড় বইছে দীপার জীবনে। আর জীবনের ওঠানামার সঙ্গে মোকাবিলা করতে করতে জেরবার দীপা।স্ট চল
বিবাহ বিচ্ছেদের বিরহ বেদনাতো আছেই, সঙ্গে আছে রূপার বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়া। চিকিৎসার জন্য চাই এক কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা। সেনগুপ্ত পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছে। অর্জুনও আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে চলেছে। দীপাকে আর্থিক সাহায্য করার মতো কেউ নেই। তাই কখনও ফুল বিক্রি করে, কখনও বা অর্গ্যানিক পারফিউম তৈরি করে অর্থ উপার্জন করছে দীপা।
তবে দীপার শত্রুর অভাব নেই। দীপাকেও সবদিক থেকে শেষ করে দিতে দীপার জীবনে কখনও এসেছে মিশকার পাপাই পারিজাত সেন, কখনও বা মিস্টার কুমার। তবে শুধু বুদ্ধির জেরে বাঘা বাঘা ক্রিমিনালদের কবল থেকে ফিরে এসেছে সে। ভেঙেছে, তবু মচকায়নি দীপা। শ্বশুর-শাশুড়ি, সোনা-রূপা আর দাদা-বৌদি নিয়ে গুছিয়ে সংসার করছে সে। চরম অর্থ কষ্ট থাকলেও, সুখী তারা।
এদিকে, দিনদিন রূপার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়ে চলেছে। জলদি অপারেশন না করাতে পারলে রূপার প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রূপা বেঁকে বসেছে। অর্জুন আর তার মা বিয়ে না করলে সে অপারেশন করাবে না। বাধ্য হয়েই অর্জুন আর দীপা বিয়েতে রাজি হয়েছে। তবে তাদের বিয়ে হবে লোক দেখানো। তাই লাবণ্য সেনগুপ্ত ফিরে এলে যখন তিনি অর্জুন-দীপার বিয়েতে মত দেন। বলেন তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অর্জুন-দীপার বিয়ে দেবেন। অর্জুনের কাছে তার অনুরোধ দীপা যেন সারাজীবন মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে। তখন দিশেহারা লাগে দীপার।
আরো পড়ুন: কথার সেটে তুলকালাম! মেকআপ রুমের পেছন দিকের জানলায় ফের অশরী’রী’র উপদ্রব! ভয়ে কাঁ’টা পুরো ইউনিট!
এবার অর্জুন একমাত্র ভরসা। বিয়ের আগের মুহূর্তে অর্জুন বলে বিয়েটা হোক দুজনের মধ্যে, ব্যক্তিগত ভাবে। মন্দিরের গর্ভগৃহে তাদের বিয়েতে সাক্ষী থাকবে শুধু ভগবান। রূপা সুস্থ হয়ে উঠলে ভাল ভাবে, বড় করে ফের বিয়ের আসর জমাবে তারা। অর্জুন আর দীপা যে সবার চোখের আড়ালে গিয়ে কাউকে বিয়ে করবে না জানে দর্শক। তবে এরপর কি হতে চলেছে? জানতে হলে দেখতে হবে অনুরাগের ছোঁয়া।