দুর্গাপুজোর ক্লান্তি আর ল্যাদ সরিয়ে লক্ষ্মীপুজোয় পেতে চান ঝকাঝক ত্বক? ফটাফট পড়ুন এই টিপস

শীত কড়া নাড়ছে দরজায়। শুষ্ক আবহাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের। আর এই বিশেষ মরশুমে প্রয়োজন হয় ত্বকের বিশেষ পরিচর্যার। বলাই বাহুল্য ত্বক ভালো রাখার জন্য বাজার চলতি ক্রিমের অভাব নেই। বেশিরভাগ প্রসাধনী সংস্থা দাবি করে থাকে তাদের তৈরী প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ত্বক নিজের পুরনো যৌবন ফিরে পাবে। আর বিজ্ঞাপনে বিশ্বাসী এই সমাজ যথারীতি নামিদামি সংস্থার ক্রিম ব্যবহার করে নিজেদের ত্বকের বারোটা বাজায়।

কিন্তু ব্যস্ত জীবনে কোথায় সময় মেলে ত্বকের পরিচর্যার? বাইরের রোদ, জল, দূষণে ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারায় ত্বক। আর সেই জন্য অনেকেই বাজার চলতি ক্রিমের ব্যবহার করেন। কিন্তু সেই ক্রিম অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হয়। প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে তা আরও অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়। দুর্গাপুজো পরবর্তী লক্ষ্মী পুজোয় চান ঝকঝকে ত্বক? তাহলে মেনে চলুন এই পদ্ধতি গুলো।

১. ভাতের ফ্যান –

অবাক লাগলেও ভাতের ফ্যান ত্বকের পরিচর্যায় অব্যর্থ। ভাতের ফ্যান আমরা বেশিরভাগ সময়ই ফেলে দিই। কিন্তু এই ভাতের ফ্যানকেই ত্বকের পরিচয় দারুন ভাবে ব্যবহার করতে পারেন আপনি। আর তাই ভাতের ফ্যান না ফেলে আপনি টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন গ্রিন টি বা শসার রস অথবা গোলাপজল। সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটি কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। মাঝে মাঝে তুলোয় করে মুখে ভালো করে মুখে বুলিয়ে নিন, ত্বক হয়ে উঠবে চকচকে, উজ্জ্বল, ফর্সা।

২. ভাত-

ত্বকের পরিচর্যায় অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভাত। অত্যন্ত চকচকে, পরিষ্কার, ডাকছো প্রেম ত্বক পাওয়ার জন্য ভাত অত্যন্ত উপকারী। রূপচর্চার জন্য বেশ খানিকটা ভাত ভালো করে চটকে নিন, তারপর তাতে মিশিয়ে নিন কাঁচা দুধ। এরপর পুরো মিশ্রণটি মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিয়ে একটি ঘন পেস্ট বানান। এরপর এই পেস্টটি আপনি ফ্রিজে রেখে দিন, ব্যবহার করুন নাইট ক্রিম হিসেবে।

৩. চাল ভেজানো জল –

ভাতের ফ্যানের মতোই ত্বকের পরিচর্যায় চাল ভেজানো জল ও অত্যন্ত উপকারী। বেশিরভাগ বাড়িতেই রান্নার আগে অনেকটা সময় চালকে ভিজিয়ে রাখা হয়। এরপর সেই চাল ধোয়া জল ফেলে দেওয়া হয়। সেই জলকে ফেলে না দিয়ে একটি শিশিতে ভরে রেখে দিন ফ্রিজে। ব্যবহার করুন টোনার হিসেবে। এর ফলে ত্বক হবে টানটান, নিদাগ হবে দাগছোপ হীন, উজ্জ্বল ত্বক।