ধান্দাবাজের দল! পুতুলকে বাঁচাতেই শিমুলকে জেল থেকে ছাড়ালো মধুমিতা- পরাগ! আসছে বিরাট চমক

জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুলের জীবনে নেমে এসেছে সমস্যা। পরাগকে বিষ দেবার অপরাধে এখন জেল বন্দি শিমুল। তার ছাড়ানোর জন্য সব রকমের চেষ্ঠা করছে সুচরিতা, বিপাশা, শীর্ষা এবং শতদ্রু। শিমুলকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য ভালো উকিলও ঠিক করে শতদ্রু। এদিকে পুতুলের প্রায় মৃত্যুসজ্জায়। প্রতীক্ষার ধাক্কায় টেবিলের গুত খেয়ে জ্বর আসে পুতুলের। মেয়ের পরিস্থিতি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মধুবালা দেবী।

কিন্তু কেসের শুনানি থাকার জন্য সকলে তাকে বাধ্য করে কোর্টে আসার জন্য। যদিও কোর্টে এসে উনি সব সত্যি কথাই বলেছেন বিচারককে। কোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি যান তুতুলদের বাড়ি। সেখানেই তিনি রেখে এসেছিলেন পুতুলকে। মধুবালা দেবীকে দেখে তুতুলের মা বলে পুতুলের অবস্থা দেখে তার ভালো লাগলো না তাই তিনি ডাক্তারকে ফোন করেছেন। তার কথা শুনে খুশি হয় মধুবালা দেবী। তবেই একদম ঠিক করেছেন তিনি।

তারপর ডাক্তার আসে পুতুলকে দেখে। ডাক্তার জানান পুতুলের অবস্থা ভালো নয় তাকে কিছু টেস্ট করতে হবে। কিন্তু ডাক্তারকে থামিয়ে পরাগ বলে টেস্টের কোনও দরকার নেই। সামান্য জ্বর এসেছে ওষুধেই কমে যাবে। কিন্তু ডাক্তার তাকে বলেন তিনি ডাক্তার নন তাই এই বিষয়ে তার চুপ থাকাই শ্রেয়। তখন মধুবালা দেবীও বলে ওঠেন পরাগকে যে তার টাকার দরকার নেই মধুবালা দেবীর। তিনি তার মেয়েকে নিজের টাকায় সুস্থ করবেন।

তখন পুতুল জ্বরের ঘোরে বলে ওঠে শিমুলের কথা। কিন্তু পরাগ না করে দেয় একদম। মধুবালা দেবী তার শিক্ষকের কথা বললে তাকেও মানা করে দেয় পরাগ। অপরদিকে শিমুলের সঙ্গে কথা বলছে বিপাশা, সুচরিতা, শতদ্রু। তাকে লড়াই চালিয়ে যেতে বলেন তারা। শিমুলের জন্য তাদের গানের অনুষ্ঠানও হচ্ছে না তাই তাকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে বলেন তারা। শতদ্রুর যে বিয়ে ভেঙে গেছে সেটা জানায় সে। শিমুলকে বলে সে যদি না চায় তবে বন্ধু হয়েই থেকে যাবে তারা কিন্তু তার কোন ক্ষতি হতে দেবে না সে।

মধুবালা দেবীর পরিস্থিতির কথা বলেও অনুশোচনা করে সুচরিতা। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের পুতুলের জন্যই কি তবে শিমুলকে বাঁচাবে মধুবালা দেবী? উত্তর মিলবে আগামী পর্বে।