একটা দুটো অন্য পরকীয়া, অন্য কারণে এই বিয়ে এসবই তো আস চমক। লীনা গাঙ্গুলির (Leena Ganguly) ধারাবাহিক মানেই হাজার একটা মজার ঘটনা। আসলে তাঁর লেখা সিরিয়াল দেখতে বসা মানেই দর্শকদের কিছু জিনিস জেনে নিতে হবে, এক তাতে প্যাঁচানো প্রেম কাহিনী থাকবে না, তা হবে না। ত্রিকোণ প্রেম, পরকীয়া, নিজেকে নিজেই বিয়ে, অদ্ভুতুড়ে বিয়ে এসব তো থাকেই। এবার ধারাবাহিকের স্বভাব গল্পের গরু গাছে চড়িয়ে দেওয়ার। তার মাঝেই বিয়ের কতরকম কারসাজি।
আসলে লীনা গাঙ্গুলির তাঁর ধারাবাহিকের লেখনীর কারণে ধারাবাহিকের থেকেও বেশি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন। যে ধারাবাহিকের সঙ্গেই তাঁর নাম জড়িয়ে যাচ্ছে সেই ধারাবাহিকের প্লট দর্শকেরা আগে থেকেই বুঝে যাচ্ছেন। আর না যাওয়ার মতো কিছু নেই। আসলে এই মুহূর্তে স্টার জলসার তাঁর লেখা তিনটি ধারাবাহিক চলছে। গুড্ডি, এক্কা দোক্কা ও বালি ঝড়।
এই তিনটি ধারাবাহিকের গল্প সেই ঘুরে ফিরে একই জায়গায়। পরকীয়া, তাতে আবার পরকীয়ার মাঝে পরকীয়া। আর এসবের মধ্যে ফাউ হচ্ছে ত্রিকোণ প্রেম। এই ফর্মুলায় আপনি লেখিকা লীনা গাঙ্গুলির লেখা যেকোনও ধারাবাহিকের গল্পকে ফেলে দিতে পারবেন।
কিন্তু এভাবে এই গল্প কতদিন দর্শরকা দেখবেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই গল্প দর্শকদের বেশিদিন দেখতে ভালো লাগছে না। ফলে সেই ধারাবহিক থেকে টি আর পিও উঠছে না। আর যে ধারাবাহিকের টি আর পি নেই, সেই ধারাবাহিক চালাবার কোনও মানে দেখতে পায় না চ্যানেল। ফলে খুব তাড়াতাড়িই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ধারাবাহিকগুলো।
এবার যখন গল্পের মিল থাকবে, হিরোদের মধ্যেও তো মিল থাকবেই। আর এই বিষয়টাই লক্ষ করেছেন এক দর্শক। তিনি ঠিক লক্ষ্য করেছেন কেমন কাকতালীয় ভাবে গল্পের পাশপাশি সিন, জামাত রঙ, ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল থেকে শুরু করে এক্সপ্রেশন সব যেন হুবহু মিলে যাচ্ছে। এবার আপনারাই বলুন, এতে কি আর শুধু “লীনাদি” কে দোষ দেওয়া যায়? নির্মাতারা না চাইলে পুরোটা হুবহু এক মাইল যেতে পারে?