হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। ঢাকে কাঠি পড়ল বলে! তারপর উৎসবে মেতে উঠবে সকলে। টেলিভিশনের ( Television ) খুদে অভিনেত্রী মিশিতা রায় চৌধুরী ( Misheeta Roy Chowdhury ), অর্থাৎ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ( Anurager Chhowa ) পুঁচকে সোনার প্ল্যানও কমপ্লিট। কী পরবে, কোথায় যাবে এই লিস্ট লেখা চলেছে প্রতি মুহূর্তে। ৩০ তারিখ শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে তাঁর। ছুটির মরসুমে মা দুর্গাকে দেখতে যাওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় খুদে অভিনেত্রী।
মিশিতার পুজোর প্ল্যান কী জিজ্ঞেস করতেই ফোনের ওপার থেকে তাঁর মা বলে, ‘ওরে বাবা, ও তো সাংঘাতিক এক্সাইটেড। সারাক্ষণ শুধু প্ল্যানিং চলছে।’ যদিও এবছরের পুজো একটু আলাদা মিশিতার জন্য। উত্তরপাড়ার বলাকায় নবমীর দিন কুমারী পুজোয় অংশ নেবে সে। দেবী রূপে সেজে উঠবে সোনা।
প্রসঙ্গত, ঠাকুর দেখা, ভোগ খাওয়া, নতুন জামা পরার বিশেষ মুহূর্তের প্রতীক্ষায় পর্দার সোনা। বলল, ‘পঞ্চমী থেকে একাদশী পুরোটাই পরিবারের সঙ্গে কাটব। ৮ থেকে ১০টা জামা হয়েছে আমার। রোজ দু’বেলা পরব।’ তবে শুধু জামাতেই আটকে নেই। দশমীর জন্য সে কিনেছে লাল পাড় সাদা শাড়ি।
ছোট্ট মিশিতার গিন্নি সাজার দিকে ঝোঁক বেশি। তাই লাল পাড় সাদা শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং জুতোও কিনেছে সে।এছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া মাস্ট। পুজোর পরই ১৬ই অক্টোবর মিশিতার জন্মদিন। এদিন বিশেষ করে পরিকল্পনা করেছে খুদে। বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে জোর কদমে জন্মদিন পালন হবে এদিন।
আরও পড়ুনঃ “তিনি তো একটা সুতো কিনবেন না বলেছিলেন” শ্বশুরবাড়ির দুর্গাপুজোর কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক’টাক্ষের শিকার শ্রুতি
পর্দার সোনা কি বাস্তবে মহালয়া শোনে?
ছোট্ট মিশিতা কী মহালয়া শোনে? মিশিতার মা জানান, ‘মহালয়া দেখা ওর চাই-ই চাই। তার মধ্যে সূর্য আঙ্কল শিব হয়েছেন। সেটা তো ওকে দেখতেই হবে। গলায় যেহেতু সাপ রয়েছে, তাই সেটার প্রতিও আলাদা আগ্রহ রয়েছে ওর। কত প্রশ্ন যে করছে, তা ভাবনারও বাইরে। জিজ্ঞেস করেছে, আঙ্কেল তোমার গলায় সাপটা যদি সত্যিকারের হতো, তাহলে কী হতো?’