কটাক্ষের মুখে ‘মিঠিঝোরা’র রাই! মাচা শোতে গান গেয়ে নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক আরত্রিকা! অভিনেত্রীর গান শুনে ক্ষুব্ধ দর্শক, উঠল প্রশ্ন- “অভিনেত্রী অভিনয় করুন! টাকার জন্য যা ইচ্ছা করা যায়?” “ওভার কনফিডেন্স কোথা থেকে পান?”

বর্তমানে ছোট পর্দায় (Bengali Television) হামেশাই নবাগত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের (Actor-Actress) ভিড় চোখে পড়ে। একের পর এক নতুন ধারাবাহিকে নতুন নতুন মুখদের এনে চমক দিয়ে থাকেন নির্মাতারা। এদের মধ্যে অনেকেই রাতারাতি এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করে, যে নিজেদের অজান্তেই তাঁরা দর্শকদের পরিবারের অংশ হয়ে ওঠেন। সেই সূত্রে বিভিন্ন রকম সামাজিক থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (Cultural Events) ডাকও পেয়ে থাকেন তাঁরা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে মাচা শো-তে। সমাজমাধ্যমে প্রায়ই এই সব ভিডিও ঘিরে তুমুল আলোচনা হয়।

সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এমনি একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) ধারাবাহিকের রাই, অর্থাৎ ‘আরত্রিকা মাইতি’ (Aratrika Maity) মঞ্চে গান গাইছেন। পেছনে বাদকেরা বাজিয়ে চলেছেন আর সামনে রাই ‘বাতাসে গুনগুন’ গেয়েই চলেছেন নিজের মনে। যদিও সেই গানে না আছে সুর, না আছে তাল। একদিকে থেকে দেখলে এটা স্বাভাবিক, অভিনেত্রীরা গান নাইবা জানতে পারেন। কিন্তু প্রশ্নটা উঠছে এখানেই– অভিনেত্রীর অভিনয়টাই করাই শ্রেয়। গান যখন জানেনই না, তখন এমন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কী দরকার?

কেউ বলেছেন, “অভিনয় করে চরিত্রের জন্য যেটুকু নাম করে এরা, তারপর এইসব কীর্তি করে সবটা হারায়। উল্টে সমালোচনা আর অপমান ডেকে আনে।” আবার কারোর মতে, “এরা গান গাইতে যায় কেন বুঝি না। এদের নিজের গানের প্রতি কি কোনও ধারণা নেই? নাকি ইচ্ছে করে এগুলো করে!” কেউ আবার ব্যঙ্গ করতেও ছাড়েননি, “কান দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে, ব্রেন কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে, এখন চোখেও ঝাপসা দেখছি!” তবে আরত্রিকার দিকে কটাক্ষ ঢেঁয়ে এসেছে বেশি।

কারোর মতে, “এটা অনেক কঠিন গান, এই গানটা না গাইলেও চলত। অনেক সোজা গান আছে, তার মধ্যে থেকে একটা গাইলেই হতো। যারা সিঙ্গার, তারাই এই গানটা করতে গিয়ে তাদের দম শেষ হয়ে যায়, সেখানে আপনি তো নন-সিঙ্গার। আপনারা এত ওভার কনফিডেন্স কোথা থেকে পান কে জানে?” আবার অন্যজনের মন্তব্য, “এইসব লোকদের ডেকে গান গাওয়ানো করানো হচ্ছে! এদিকে হাজার হাজার ভালো গান জানা নতুন শিল্পীরা শো না পেয়ে নিজের স্বপ্নকে রক্ত বমি করে বের করছে।

আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সেকেন্ড ডিভিশন! ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেই এত সম্পত্তি! কলকাতার বুকে এক নয়, দুই নয়, ঠিক কটা সম্পত্তি রাজা-মধুবনীর? নেটিজেনদের প্রশ্ন,”এত টাকা আসে কোথা থেকে?”

লজ্জা লাগা দরকার এই ইভেন্ট কোম্পানিগুলোর, আর সমাজেরও লজ্জা লাগা দরকার।” এখানেই শেষ নয়, এই ধরনের ঘটনা শুধু আরত্রিকার সঙ্গেই নয়, টেলিভিশনের আরও অনেক তারকার সঙ্গেও বারবার ঘটছে। শুধুমাত্র জনপ্রিয়তার খাতিরে যে কোনও শিল্পে জোর করে পা রাখলে তা কখনও গ্রহণযোগ্য হয় না। একজন অভিনেতা নিজের জায়গায় যেমন সেরা, তেমনই একজন গায়কও তার জায়গায় সম্মানযোগ্য। মঞ্চের সম্মান রক্ষা করা একজন শিল্পীর দায়িত্ব, সেটা যতটা আনন্দের, ততটাই দায়িত্বশীলতাও চায়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।