সাইকোলজির ছাত্রী মৌ বোঝে না ডোডোর মনের কথা! ‘মেয়েদের জাতীয় সমস্যা পৃথিবীর সবার কথা বুঝলেও বরেরটা বোঝে না’, খিল্লি করবে না সমব্যথী হবে বুঝতে পারছে না দর্শক
ঠিক যে সময় বন্ধুত্বের বন্ধন গাড় হতে চলেছিল, সে সময়ই নতুন বিপদের মুখে পড়ল ‘মৌঝর’এর সম্পর্ক। এমনকি ডিভোর্সের পথে হাঁটছে তারা। স্টার জলসায় কিছু মাস আগেই শুরু হয়েছে ধারাবাহক ‘মেয়েবেলা’। শুরুর প্রথম দিকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ধারাবাহিক। কিন্তু রূপা গাঙ্গুলি ছেড়ে দেওয়ার পর ধাবাহিকের টিআরপি কমতে শুরু করেছে। এমনকি এটাও গুঞ্জন রটছে, শেষ হয়ে যেতে পারে ‘মেয়েবেলা’। উক্ত ধারাবাহিকের ট্যাগলাইনও দেওয়া হয়েছে ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’।
আমাদের সমাজে বহুকাল আগে থেকে একটা ধারণা চলে আসছে, তা হল মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। চিরাচরিত এই ধারণার বদল ঘটাতেই আসছে সম্পূর্ণ নারী কেন্দ্রিক ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’। যদিও গল্প যত এগোচ্ছে, তত গল্পের বিষয়বস্তু থেকে যেন সরে যাচ্ছে ‘মেয়েবেলা’। আর তাই দর্শকরাও ধারাবাহিক নিয়ে অসুন্তষ্টি প্রকাশ করছেন। ধারাবাহিকের প্রথমেই বিয়ের পর্ব এনে মোড় ঘোরানো হয়। আর সেখান থেকেই শুরু নায়ক-নায়িকার পথ চলা।
যদিও দুজনেই পরিস্থিতির চাপে পড়ে বিয়েতে রাজি হয়েছে। ধীরে ধীরে সংসারের বন্ধনে তারা একে ওপরের সাথী হয়ে ওঠে। পাশাপাশি মৌ-এর জন্যই ডোডোর পরিবারের মেয়েরা আবার নতুন করে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে শুরু করেছে। বিয়ের আগে ডোডো ভালোবাসত চাঁদনী বলে একজনকে। তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল প্রায় ১০ বছরের। কিন্তু বিয়ের পর সেই ভালোবাসাকে পেছনে রেখে মৌ-এর সঙ্গে নিতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিল ডোডো।
ডোডো আর মৌ-এর ভালো বন্ধুত্ব তৈরী হওয়ার মাঝেই এল আরেক নতুন ঝড়। মৌ-এর জন্য একতলা ডোডোদের হাত থেকে বেরিয়ে যায়, এমন দোষ চাপানো হয়েছে ময়-এর উপর। আর তারজন্যই মৌ ডোডোকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি মৌ আর চায় না ডোডো চাঁদনীর থেকে আলাদা থাকুক। অন্যদিকে বীথি চাঁদনীকে বলে রেখেছে ডোডো আর মৌ-এর ডিভোর্স হয়ে যাবে। সেইমতো চাঁদনী ডোডোর সাথে দেখা করে।
চাঁদনীর বাবা ডোডোকে বলে, সে চাঁদনীকে বিয়ে করলে বিয়ের তত্ত্ব হিসাবে বাড়ির একতলা ফেরত দিয়ে দেবে। তবে বিয়ের প্রস্তাবে এখনই ডোডো রাজি নয় বলে জানায়। ডোডো চায় মৌ ফায়ার আসুক। কিন্তু মৌ বারংবার দোদোকে ভুল বুজে আসছে। সে ভাবছে ডোডো দাও চায়না তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে। আর তাই দেখে এক দর্শক বলে, মৌ সাইকোলজি নিয়ে পড়াশুনা করে, অনেক বুদ্ধি তাও বরের মনের কথা বুঝতে পারছে না। দর্শকের কথায়, “আসলে আমাদের মেয়েদের এটা জাতীয় সমস্যা পৃথিবীর সবার কথা বুঝলেও বরের কথা বুঝতেই চাই না, বর মুখ খুললেই সব ভুল।”