কাজ করতে চাই কিন্তু কেউ কাজ দেয় না! ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সুচিত্রা কন্যা মুনমুন
বাংলার সেরার তালিকাভুক্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন (Munmun Sen) । একসময় বাংলা সহ মালায়ালাম, মারাঠি, তামিল, তেলেগু, হিন্দিতেও কাজ করেছেন তিনি। একসময়কার সেরা অভিনত্রী, যিনি কিনা এতগুলো ভাষার সিনেমায় কাজ করেছেন, সেই তিনিই নাকি কাজ পাচ্ছেন না টলিউডে!
২০২৪ এর শর্ট ফিল্ম ফেস্টভ্যালে উপস্থিত ছিলেন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। দুঃখ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যু সংবাদ শুনে। তাদের মধ্যেই ভালো সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেন তিনি। জানান শ্রীলা খুব কষ্ট পেয়ে গেছেন।
ঊষা উথ্থুপ এবং মিঠুন চক্রবর্তীর পদ্মভূষণ পাওয়ার প্রসঙ্গে মুনমুন সেনকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তিনি বলেন, “আমি খুব খুশি। আমি আজই ঊষাকে অভিনন্দন জানিয়েছি আর মিঠুনের সঙ্গে তো দেখা হয়নি। তবে আমি খুব খুশি। ঊষা পদ্মভূষণের যোগ্য”
সাংবাদিকরা তাকে শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলে ওঠেন “আমি জানি। আমরা একসাথে কাজও করেছি অঞ্জন দত্তের একটি ছোট ছবিতে। তাতে খুব হাসি ঠা্টা। ও যেরকম গম্ভীর রোল করে বাস্তব জীবনে ও একদমই আলাদা। খুব হাসি মজা করে কাজ করেছি দুজনে, খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছিলো। আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। অনেক কষ্ট চলে গেছে।
তিনি কি জানতেন শ্রীলা মজুমদারের এরকম একটি মারণ রোগ রয়েছে তাতে তিনি উত্তর দেন “তিনি অনেক আগে একসাথে কাজ করেছিলেন তখন কিছু ছিল না।”
সাংবাদিকরা তাকে বড় পর্দায় কাজ করার ইচ্ছার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে তিনি জানান “সেরকম অফার আসেনি। আমার খুব ইচ্ছা আছে কাজ করার। তবে সেরকম রোল, সেরকম কো-স্টার, এসেছে যেগুলো একটা দুটো করার মতো নয়।”
তিনি আরও জানান যে “আমি অনেক বছর ধরে অপেক্ষায় আছি সিস্টার নিবেদিতা করার খুব ইচ্ছা ছিল, শুরুও করেছিলাম টিভিতে তবে সিজন শেষ হয়নি। দীপার প্রেম রিমেক করা যায়, অনেক বিষয় আছে করা যায় কিছু কেউ ভাবে না সেইভাবে”
শর্ট ফিল্ম নিয়ে তিনি বলেন “শর্ট ফিল্ম বানানো খুব কঠিন। এই ফিল্মটাই ধরো কত জন করবে। আমি বুলবুল সিরিয়ালের লেখককে খুব মিস করছে। উনি আরও ভালো করে বিষয়টা বলতে পারতেন। সেরকম ভালো শর্ট ফিল্মের প্রচারও হয়না। অনেক ভালো ভালো মুভি আছে, ভালো কাহিনী, একটা ভালো গভীর অর্থও আছে সিনেমাগুলোতে। আরও প্রচার হলে আরও ছাত্রছাত্রী আসে দেখতে পারতো। ফ্লিম সংস্থা থেকে লোক আসে দেখতে পারতো।নীল আকাশের নিচে গল্পেও খুব সুন্দর ম্যাসেজ আছে।”
“আমার জীবন আগের থেকে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।এখন অনেক দায়িত্ব বেড়েছে। আমার বাড়িতেও এখন অনেক অসুস্থ, মোহনে সিনেমাটা দেখে খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম।” তিনি জানান সাংবাদিকদের।