হিংসা প্রতিশোধ কিচ্ছু নয়, চোখের সামনে প্রাক্তন স্ত্রীকে অন্য কারুর হতে দেখেও সংযম! প্রাক্তনকে কীভাবে সম্মান করতে হয় শেখালো পোখরাজ
লীলা গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি ধারাবাহিক যখন স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। তখনই অন্য একটি ধারাবাহিক হচ্ছে প্রশংসিত। আর এই প্রশংসা কিন্তু ওই ধারাবাহিকে দেখানো গল্পের প্রাপ্য। পরকীয়া নোংরামির পথ পেরিয়ে বন্ধুত্ব ভালোবাসার এক অন্য গল্প বলছে ধারাবাহিক এক্কাদোক্কা (Ekka Dokka)!
এই ধারাবাহিকের নিয়মিত ভক্তরা অবশ্যই জানেন যে, এই ধারাবাহিকের শুরুর দিকের মূল জুটি ভেঙে গেছে অনেক আগেই। হ্যাঁ কথা বলছি পোখরাজ-রাধিকার (Pokhraj Radhika)। তাঁদের প্রেমের গল্প দিয়েই পথ চলা শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক এক্কাদোক্কার (Ekka Dokka)। কিন্তু যথারীতি গল্পে জট পাকান লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
সাহেবের চিঠি ধারাবাহিক শেষ হতেই অভিনেতা প্রতীক সেনকে (Pratik Sen) নিয়ে চলে আসেন তিনি এই ধারাবাহিকে। আর প্রতীক-সোনামনির জুটি মোহর (Mohor) ধারাবাহিকের সৌজন্যে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হওয়ায় যথারীতি আন্দাজ করাই যায় তাঁদের দুজনকে নিয়েই নতুন জুটি তৈরি হতে চলেছে। আর তেমনটাই হয়।
পোখরাজের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় রঞ্জাবতী নামক একটি মেয়ের সঙ্গে। যদিও সেই সময় রাধিকার সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল পোখরাজের। কিন্তু না রাধিকাকেই ভালবাসত পোখরাজ। যদিও পোখরাজকে ভুল বোঝে রাধিকা। অন্যদিকে রঞ্জাবতী পোখরাজের জীবন বাঁচানোয় এই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয় পোখরাজ। যদিও ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ভালোবাসা।
অন্যদিকে চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে অনির্বাণ-রাধিকার সম্পর্ক। আর এবার চার হাত এক হতে চলেছে। আর অনির্মাণ- রাধিকাকে এক হতে দেখে মনে কোনও হিংসা নেই পোখরাজের। বরং নিজের প্রাক্তন স্ত্রী তথা ভালো বন্ধু রাধিকার জন্য খুশি সে। সে ক্ষতি চায়না রাধিকা-অনির্বানের বরং চায় তাঁরা যেন সুখে থাকে ভালো থাকে। হিংসা নয় বরং ভালোবাসা বন্ধুত্বের এই নতুন সংজ্ঞা দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।
View this post on Instagram