সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। একেবারে খুশির হাওয়া লেগেছে সিংহ রায় পরিবারে। সাময়িকভাবে বিপদের মেঘ কেটে গেছে তাদের মাথার উপর দিয়ে। এখন সেলিব্রেশন চলছে বাড়িতে। কীসের পার্টি?
আরে ভুলে গেলেন সিংহ রায় জুয়েলার্সের পার্টি? নতুন মুখ হয়ে উঠেছে পরিবারের বৌমা দ্যুতি। আর মুখ্য ডিজাইনার খড়ি। এই দুই বোনের শুরু হয়েছে নতুন পথচলা একেবারে নতুন পরিচয়ের মধ্যে দিয়ে। ঘুড়ির প্রতিযোগিতা হয়ে যাবার পর এখন এই পরিবারে শুরু হয়েছে নতুন পার্টি। পার্টিতে সকলে রয়েছে পরিবারের থেকে। আর সেখানে নতুন সমস্যা শুরু হলো।
আসলে দাদার হাজতবাসের বদলা নিতে চলেছে কিয়ারা। এ ব্যাপারে সে কাজে লাগাতে চাইছে দ্যুতিকে। তার মধ্য দিয়ে কিয়ারা ঋদ্ধি আর খড়ির মধ্যে ফাটল ধরাতে চাইছে। নিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে প্রায় উল্টে পড়ে যাচ্ছিল দ্যুতি। ঠিক সময় তাকে এসে বাঁচিয়ে নিয়েছে জামাইবাবু ঋদ্ধি। গোটা পরিবার সেই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে।
সেটা নিয়ে নতুন প্ল্যান করছে কিয়ারা। খড়িকে দিদির বিরুদ্ধে চালাতে চাইছে সে। দ্যুতি আর ঋদ্ধিকে নিয়ে তার মনের মধ্যে বিষ ঢালতে চাইছে কিয়ারা। সে মনে করিয়ে দেয় জীবনসঙ্গী হিসেবে ঋদ্ধি প্রথমে বেছে নিয়েছিল দ্যুতিকেই। তাই এত সহজে তাকে হয়তো ভুলতে পারবে না।
এই কথা শুনে প্রচন্ড রেগে গিয়ে কিয়ারাকে চড় মারে খড়ি। সে এটা তো বিশ্বাস করতে চায় না কিন্তু মনের মধ্যে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে এসে কথা বলতে চায় নিজের স্বামীর সঙ্গে কিন্তু সেই সুযোগ পায় না। এরপরই দেখে স্বামী ঋদ্ধি নিজের শালী দ্যুতিকে নিয়ে কোথায় যেন বেরিয়ে গেল। এর থেকেই সন্দেহ জাগে তার মনে।
এদিকে আবার খড়ির পিছু নিয়েছে এক অজানা শত্রু। সেই কি তাহলে ডি? এবার কোন বিপদ অপেক্ষা করছে সিংহ রায় পরিবারের জন্য?