‘মেয়েদের কেউ বিশ্বাস করেনা’, এক্কা-দোক্কার পর্ব মন ছুঁলো সকল দর্শকদের, তারপরই আবেঘন পোস্ট নেটিজনদের 

ইতিমধ্যে ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’ ২০০ পর্ব অতিক্রম করে দিয়েছে। ডাক্তারি কলেজের পড়ুয়াদের নিয়ে ভরপুর খুনসুটিতে ভরা স্টার জলসার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিক। দুই পরিবারের শত্রুতার মাঝেই দুজনের প্রেম নিয়ে শুরু এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন সোনামণি সাহা ‘রাধিকার’ চরিত্রে এবং সপ্তর্ষি মৌলিককে ‘পোখরাজের’ ভূমিকায়। রাধিকার পরিবারের সঙ্গে পোখরাজদের পরিবারের রেষারেষি দেখিয়েই শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক।

রাধিকা ও পোখরাজের পরিবারের শত্রুতা বহুদিনের। আর এই শত্রুতাকে ভুলেই এক হয়েছিল রাধিকা ও পোখরাজ। যদিও এই পথটা দুজনের পক্ষেই সহজ ছিল না। দুজনেই ডাক্তারির পড়ছিল। প্রথমদিকে দুই পরিবারের শত্রুতার জন্য রাধিকা আর পোখরাজও একে ওপরের শত্রু হয়ে উঠেছিল। তবে দুজনের এই রেষারেষির মধ্যেও ধীরে ধীরে তাঁদের একে অন্যের জন্য টান তৈরী হয়, একে অপরকে ভালোবাসতে শুরু করে তারা।

তারপরই রাধিকা এবং পোখরাজের বিয়ে হয়ে যায় কিন্তু তার পুরোপুরি বিরুদ্ধে ছিল পোখরাজের মা ‘শর্মিষ্ঠা’। প্রথম থেকেই তাদের আলাদা করতে চেয়েছিল শর্মিষ্ঠা। এরপরই গল্পের মোড় ঘুরে যায়। এই সিরিয়ালের স্কোর প্রথম থেকেই টিআরপির তালিকায় ৫ থেকে ৬.৭-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে। শহুরে দর্শকরা এই গল্পে অনেকটা রোমিও-জুলিয়েটের গন্ধ পায়, তাই কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে মজুমদার এবং সেনগুপ্ত পরিবারের গল্প।

ধারাবাহিকে এখন নায়ক-নায়িকার ডিভোর্স নিয়ে চলছে কাঁটাছেঁড়া।সেই সঙ্গে রাধিকার বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করার লড়াই করছে দুই মেয়ে। পাশাপাশি রাধিকার উপর গয়না চুরির মিথ্যা অভিযোগ । আমরা দেখেছি, রাধিকার বাবাও প্রথম থেকে রাধিকাকে দোষী বলে মনে করছিলেন। এমনকি অনেক খারাপ কথাও রাধিকাকে একসময় শুনিয়েছিলেন। তবে পরে রাধিকার বাবা বুঝতে পেরেছে যে সে ভুল, রাধিকা পুরোপুরি নির্দোষ। আর তারপর থেকেই নিজের কাছে নিজেকে খুব ছোটো মনে করছিল রাধিকার বাবা।

Ekka Dokka

গতকালের পর্বে রাধিকার বাবা রাধিকাকে সেই মনের কথাই ব্যক্ত করেন। আর তখনই রাধিকা বলে, ‘মেয়েদের কেউ বিশ্বাস করে না।’ রাধিকা আশা করেছিল তার বাবা তাকে বিশ্বাস করবে কিন্তু সেটা না করায় রাধিকাও এতদিন বাবার উপর রাগ করেছিল। তবে এবার বাবা-মেয়ের সব মান-অভিমান দূর হয়েছে। বাবা রাধিকাকে তার কলেজ পাল্টে ফেলতে বলে, এবং ডাক্তারি পড়া শেষে তারসাথেই গ্রামে চলে যাওয়ার কথা বলে। উক্ত পর্ব দেখে দর্শকরাও আবেগঘন হয়ে পড়েন। একজন দর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আজ বাবা-মেয়ের মুহূর্ত অসাধারণ ছিল, মন ছুঁয়ে গেল দুজনের কথা শুনে💛🥺রাধিকার একটা কথা বুকের ভিতর নাড়িয়ে দিল: মেয়েদের কেউ বিশ্বাস করেনা, কাছের কেউওনা, সত্যি কথা”