সদাই দাদা-বৌদির বিষয়ে মাথা গলায়, অসহ্য! মায়ের কাছে তুমুল ঝাড় খেল শিমুলের দেওর

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে মে ধারাবাহিকটি দর্শকদের প্রিয় ধারাবাহিকের তালিকায় থাকবে সেটি অবশ্যই কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । বিতর্ক বিবাদ সবকিছুকে পিছনে ফেলে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে ভীষণ রকম প্রিয় ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে।

বলাই বাহুল্য সম্পূর্ণভাবে বাস্তবিক পটভূমিতে তৈরি হয়েছে এই ধারাবাহিকটি। শুরুর দিকে একটু হলেও গ্রহণযোগ্যতা পেতে এই ধারাবাহিকের সময় লাগলেও বর্তমানে কিন্তু ভীষণ রকম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধারাবাহিকটি। দর্শকদের চোখে উঠেছে একটি বাস্তবিক ধারাবাহিক।

দর্শকরা নির্দ্বিধায় বলছেন, এই ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি চরিত্রকেই বাস্তব থেকে আরোহন করা হয়েছে। যেমন পরাগ, পলাশ বা তাদের মা। প্রত্যেকটি চরিত্র‌ই ভীষণ রকম ভাবে বাস্তবধর্মী। বলে রাখি এই ধারাবাহিকে দেওর পলাশের চরিত্রটা ভীষণ রকম অসহ্য হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। এই চরিত্রটিকে একেবারেই সহ্য করতে পারছেন না দর্শকরা।

বাস্তব জীবনেও এমন দেওর, ভাসুর হয়ত দেখতে পাওয়া যায় যারা অশান্তির মাঝে ইন্ধন জুগিয়ে সেই অশান্তিকে আরও বাড়িয়ে তোলেন। আর সেই রকমই একটি চরিত্র পলাশের। সে সমানে দাদা-বৌদির মধ্যবর্তী কথার ভিতরে ঢোকে। ইন্ধন জোগায়। এমনকি দাদাকে বৌদির বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার জন্য পর্যন্ত উস্কানি দেয়। বৌদিকে চরিত্রহীন থেকে শুরু করে যে কোন রকমের নোংরা কথা বলতে তার মুখে আটকায় না।

সম্প্রতি শিমুল তার ননদকে নিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়ি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিল। এবং গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেই প্রেমিক তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায় আর এই কথা জানাজানি হতেই শুরু হয় অশান্তি। আর এই সময় সমানে বৌদির বিরুদ্ধে কথা বলে চলে পলাশ। আর যা শুনে রীতিমতো তার ওপরে ঝাঁঝিয়ে ওঠেন শিমুলের শাশুড়ি। যা একেবারেই তার স্বভাববিরুদ্ধ। তিনি পলাশকে চুপ করে তার ঘরে যেতে বলেন এবং দাদা-বৌদির কথার মাঝে কথা বলার জন্য তাকে ভর্ৎসনা করেন। মায়ের ব্যবহার দেখে রীতিমতো চমকে যায় সে! এরপর অবশ্য শিমুলও ছাড়েনি পলাশকে। সেও দু চার কথা শুনিয়ে দেয়।