Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। ধারাবাহিকটির প্রথম ঝলক দেখে ধারাবাহিকের কাহিনী নিয়ে বিশেষ উৎসাহী ছিলেন দর্শকরা। বিয়ের মানে মেয়েদের শখ, আল্লাহকে জলাঞ্জলি দেওয়া নয়, নতুন করে জীবন তৈরি করা সেটাই ধারাবাহিকের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল জি বাংলা। তবে শুরুর থেকেই টিআরপি (TRP) তালিকায় বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি ধারাবাহিকটি।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারাবাহিকে এসেছে আমূল পরিবর্তন। শুধরে গেছে পরাগ, বিয়ে হয়েছে পুতুলের আর শিমুলকে হত্যা করার চেষ্টায় জেলে গেছে পলাশ। যদিও হার্ট অ্যাটাকের কারণে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে তীর্থ। তাকে সুস্থ করতে নিজেদের সবটা উজাড় করে দেয় শিমুল, মধুবালা দেবী এবং পুতুল। রাস্তায় রাস্তায় গান গেয়ে তীর্থের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করে পুতুল। নিজেদের গয়না বন্দক দিয়ে দেয় মধুবালা দেবী এবং শিমুল।
কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ১৩ জুন (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 13 June)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে হাসপাতালে গিয়ে সমস্ত টাকা জমা দিয়ে শিমুল রিসেপশনিস্টকে অনুরোধ করে বলে তাদের ৭ লাখ টাকা বাকি আছে যেটা তারা ৩ দিনের মধ্যে দিয়ে যাবে কিন্তু এই শর্তে তীর্থকে ছাড়তে রাজি হননি রিসেপশনিস্ট। কষ্ট পেয়ে গান গাইতে শুরু করে পুতুল। পুতুলের গান শুনে বেরিয়ে আসেন হাসপাতালের সিএও। পুতুলের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বাকি ৭ হাজার টাকা মুকুব করে দেন তিনি। এরপরই তীর্থকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে সকলে।
তীর্থকে বিয়ে করেছিল প্রতীক্ষা! প্রতীক্ষার সত্যি জেনে অবাক ব্যানার্জী পরিবার
তবে তীর্থকে বাড়িতে রেগে যায় প্রতীক্ষা। নানাভাবে সে অপমান করতে থাকে শিমুলকে। তখনই তীর্থ বলে তার কাছে সমস্ত প্রমাণ আছে এবার সে সবটা সকলকে দেখিয়ে দেবে। কথাটা শুনে ভয় পেয়ে যায় প্রতীক্ষা। কিন্তু মধুবালা দেবী তীর্থকে অনুরোধ করেন সমস্ত সত্যিটা বলে দিতে। তীর্থ জানায় প্রতীক্ষা আসলে তার প্রাক্তন স্ত্রী। খুব কম বয়সে প্রতীক্ষাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল সে। কিন্তু পড়ে সামনে এসে প্রতীক্ষার আসল রূপ। তীর্থর বাড়ির নকল দলিল বানিয়ে তীর্থকে দিয়ে সই করাতে গেছিল সে। কিন্তু সবটা বুঝতে পেরে প্রতীক্ষার মানে কেস করে তীর্থ। যদিও পড়ে সে কেস তুলে নেয় সে। তারপর হয়ে যায় তাদের ডিভোর্স।
আরও পড়ুন: “যেটা করেছে ভালো করেনি” সোহমের কর্মকান্ডের তীব্র বিরোধিতা করে দেবের সুরেই সুর মেলালেন রচনা!
প্রতীক্ষার সত্যি জেনে কি সিদ্ধান্ত নেবে পলাশ?
এইসমস্ত কথা শুনে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে সকলের মাথায়। এরপরই সমস্ত প্রমাণ নিয়ে থানায় চলে যায় মধুবালা দেবী আর পরাগ। থানায় গিয়ে পলাশকে সমস্ত প্রমাণ দেখিয়ে দেন মধুবালা দেবী। প্রতীক্ষার এমন স্বরূপ দেখে ভেঙে পড়ে পলাশ। পরাগ পলাশকে বলে এবার সে ভেঙে দেখবে প্রতীক্ষাকে সে ডিভোর্স দেবে কিনা? কথাটা শুনে চিন্তায় পড়ে যায় পলাশ। তাহলে কি এবার প্রতীক্ষাকে ডিভোর্স দেবে পলাশ? আপনাদের কি মনে হয়?