মন খারাপ করা খবর! শিমুলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল পরাগ! মনের কথায় বিরাট ধামাকা

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) কাহিনীতে চলে এসেছে নতুন চমক। খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে পরাগ। শিমুল বাড়ি ভাড়া খুঁজতে শুরু করে তার আর বিপাশার জন্য। এদিকে পরাগের খেয়াল রাখতে শুরু করেন মধুবালা দেবী। চন্দনের সত্যি জানার পর চন্দনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে বিপাশা। তাদের দুজনের জন্য বাড়ি ভাড়া খোঁজার চেষ্টা করে শিমুল। কিন্তু কোথাও কোনও কিনারা না পেয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সে ঠাঁই নেওয়ার সিদ্বান্ত নেয় পরাগের বাড়িতে।

শিমুলকে ব্যানার্জী বাড়িতে দেখে খুব খুশি হয় পরাগ আর মধুবালা দেবী। যদিও শিমুল জানিয়ে দেয় তারা ভরা দিয়েই এই বাড়িতে থাকবে। প্রথমে মধুবালা দেবী ভাড়া দিতে বারণ করলেও পরে শিমুল জোরাজুরি করায় ১০০ টাকা বাড়ি ভাড়া নিতে রাজি হয়ে যায় মধুবালা। পরাগ শিমুলকে অনুরোধ করে তার চাকরিটা করতে কারণে সে কোনদিনও আর এই চাকরিটা করতে পারবে না। আর শিমুল ছাড়া এই চাকরিটা সে আর কাউকেই দিতে চায়না। পরাগ শিমুলকে বলে তার চাকরিটা করতে, আর তার থেকে যে টাকাটা শিমুল পাবে সেই টাকার কিছুটা শিমুল নিজে রাখবে আর বাকিটা শিমুল তাদের দেবে। কারণ পরাগের ওষুধের পিছনেও অনেক টাকা খরচ হচ্ছে তাদের।

Bengali serial, kar kachhe koi moner kotha, Zee Bangla, বাংলা সিরিয়াল, কার কাছে কই মনের কথা, জি বাংলা

সেটা শুনে প্রথমে তাকে বারণ করে দেয় শিমুল। কিছুদিন পরই একা বিছানা থেকে নামতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায় পরাগ। তখন যদিও শিমুল, বিপাশা, মধুবালা দেবী এবং কাকিমা আসে তাকে খাটে তুলে দেন। বিপাশাকে ডেকে পরাগ বলে শিমুলকে তার চাকরিটা করার জন্য রাজি করাতে। কারণ সে আর বেশিদিন বাঁচবে না। তাই তার মায়ের দেখাশোনার জন্য এবং শিমুলের নিজের জন্যও এই বিয়েটা করা শিমুলের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজন। বিপাশা পরাগকে তখন বলে সে তার কথা বুঝতে পারছেন। তবে সে তাকে কথা দিতে পারছেন না কিন্তু সে চেষ্টা করবে শিমুলকে রাজি করানোর জন্য।

সেই কথা শুনেই খুব খুশি হয় পরাগ। মধুবালা দেবীও বলেন যে হয়তো তিনি স্বার্থপরের মতো কথা বলছেন তবে তার ছেলে এবং পরিবারকে এখন শুধুমাত্র শিমুলই বাঁচাতে পারবে। শিমুলকে গিয়ে সবটা বোঝায় বিপাশা। সম্প্রতি পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রথমে শিমুল রাজি না হলেও সকলের বলাতেই রাজি হয়ে যায় শিমুল। কিন্তু শিমুল পরিষ্কার জানিয়ে দেয় চাকরির জন্য নয়, ব্যানার্জী পরিবারের দেখাশোনার জন্যই এইসবটা করবে সে। কিন্তু পরাগের সঙ্গে কোনরকম স্বামী, স্ত্রীর সম্পর্কে জড়াবে না সে।

আরও পড়ুনঃ দিনে দুপুরে মহা বিপদে মিমি চক্রবর্তী! চুরি গেল দামি জিনিস! চোর ধরতে একাই ছুটলেন! অবশেষে উদ্ধার

সেই কথাতেই রাজি হয়ে যায় পরাগ। তারপরই রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে নেয় শিমুল আর পরাগ। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর পরাগের স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন পরাগের চাকরিটা পাওয়ার সম্পুর্ণ ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন শিমুলকে। এদিকে দিনে দিনে শারীরিক অবস্থার খারাপ হতে শুরু করে পরাগের। তারপর শিমুলের স্কুলের যাওয়ার প্রথম দিনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শিমুল। কিন্তু স্কুলে পৌঁছানোর কিছুক্ষন পরই বাড়ি থেকে তুতুল ফোন করে শিমুলকে জানায় পরাগের শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে, মনে হয় সে আর বাঁচবে না। সেই কথা শুনে তড়িঘড়ি শিমুল বাড়ি আসে দেখে পরাগ মারা গেছে। যদি গল্পও এরকমটা হয়ে তাহলে আপনাদের কি মনে হয় কেমন হবে?