এমন বৌদি কোথায় পাবে?অর্ণবের সঙ্গে বর্ষার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়ে বর্ষার জীবন বাঁচালো পর্ণা!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) দোল উৎসব শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে নতুন সমস্যা। ফোন করে বর্ষাকে যেতে বলছে নবনীতা। নবনীতা কথা শুনেই কৃষ্ণা তাদের জানিয়ে দেয় তারা আজই বর্ষাকে তার শশুরবাড়ি দিয়ে আসবে। সেটা শুনে তার প্রতিবাদ করে পর্ণা। সে বলে নবনীতা বর্ষাকে মেনে নিতে চাননি, বর্ষাকে শুধু শুধু অপমান করেছে। তাই নবনীতাকেই আসতে হবে বর্ষাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। জেঠুও সমর্থন করেন পর্ণার দৃষ্টিভঙ্গি।

কিন্তু কৃষ্ণা জানিয়ে দেন তারা বর্ষাকে দিয়ে আসবেন। তখনই বর্ষা বলে “বৌদিভাই যা বলেছে একদম ঠিক বলেছে।” পর্ণাও বলে যে “যা হয়েছে তাতে বর্ষার কোন দোষ নেই। মেয়েরা কি এতই ফেলনা!” পর্ণার কথাকে সমর্থন করে সৃজন বলে পর্ণার ওপর ভরসা রাখতে। তখনই পর্ণা অর্ণবকে ফোন করে বলে নবনীতাকে বলতে যেন তিনি আসে বর্ষাকে নিয়ে যান। আর সেটা না হলে বর্ষা যাবে না। কিন্তু এই কথা শুনেই আরও রেগে যান নবনীতা।

তিনি কৃষ্ণাকে ফোন করে বলেন তিনি আর বর্ষাকে বাড়িতে তুলবেন না। তিনি তার ছেলের অন্যত্র বিয়ে দেবেন। এটা শুনেই ভেঙে পড়ে কৃষ্ণা। তুলসী মঞ্চে মাথা ঠুকতে থাকেন তিনি। আর পর্ণাকে “রাক্ষসী” বলে গালমন্দ করতে থাকেন। তারপর তিনি ঠাকুর ঘর থেকে শঙ্খ নিয়ে আসে পর্ণার চারিপাশ দিয়ে ঘুরে ঘুরে শঙ্খ বাজাতে থাকেন। সৃজন তাকে বাধা দেয়। তখন তিনি সৃজন আর অমিবাবুকে নিয়ে ওপরে চলে যান। তিনি ওদের দিব্যি দিয়ে বলেন তার সঙ্গে অর্ণবের বাড়ি গিয়ে নবনীতার কাছে ক্ষমা চাইতে। তখন বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে যান অমিবাবু এবং সৃজন।

কৃষ্ণা, সৃজন আর অমিবাবু নীচে নেমে আসার পর পর্ণা তাদের জিজ্ঞাসা করে তারা কোথায় যাচ্ছে। তখন কৃষ্ণা বলে তারা বর্ষার শশুরবাড়ি যাচ্ছে নবনীতার কাছে ক্ষমা চাইতে। তখন পর্ণা তাদের সকলকে বাধা দেয়। কিন্তু তার কথা কেউ শুনতে চায় না। অখিলেশ দত্ত বলেন “তুমি আর কিছু বলোনা পর্ণা ওদের মেয়ে ওরা বুঝে নিক।” তখন সৃজনও তাকে বলে আর যেন সে কিছু না করে। এই বলেই তারা বেরিয়ে যায়। বর্ষা পর্ণার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে তার জন্য আজ পর্ণাকে নত হতে হল। কিন্তু পর্ণা বলে আজ অহংকারের কাছে সত্যের পরাজয় হল।

আরো পড়ুন: প্রাণ সংশয়ে জেরবার তিস্তা! চিঠি পেয়ে কোমর বেঁধে তিস্তাকে বাঁচাতে মাঠে নামছে অর্জুন আর দীপা! এবার জমবে খেলা

ওদিকে অর্ণবের বাড়িতে গিয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে কৃষ্ণা। কিন্তু নবনীতা দরজা খোলে না। অর্ণবের বোন বলে কৃষ্ণাদের ভিতরে আসতে দিতে। কিন্তু তাতেও নারাজ নবনীতা। অর্ণবও বলে পর্ণা নবনীতাকে অপমান করছে তাই নবনীতা যা করছেন একদমই ঠিক। যদিও অর্ণবের বাবা আর বোন তার মাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে। ওদিকে পর্ণা বর্ষাকে বলে এই বিয়েতে সে কিছুতেই সুখে থাকবে না। অর্ণবের মতো একজন ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়াই ঠিক হয়নি। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের নবনীতাকে কিভাবে শায়েস্তা করবে পর্ণা?