বর্ষবরণের দিন ইচ্ছে করেই বাড়ি ফেরেনি দুর্জয়। ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেই তা বুঝতে পারে রাণী। দুর্জয়কে কী সব ওষুধ খাইয়ে ছক করে নিজের বাংলো বাড়িতে নিয়ে এসেছে অনিশা। যদিও দুর্জয় চায় রাণীর কাছে যেতে। দিন দিন রাণীর প্রতি অনুভূতি বাড়ছে তাঁর। তাই বছর শেষের রাতটা রাণীর সঙ্গে থাকবে না বলে মনটা খচখচ করছিল দুর্জয়ের। তারপর কী হল স্টার জলসার (Star Jalsha) তোমাদের রাণী (Tomader Rani) সিরিয়ালে?
ফোনে সব কথা শুনে মরিয়া হয়ে দুর্জয়কে খুঁজতে থাকে রাণী। রীতমের সঙ্গে নার্সিংহোমে এসে খোঁজ করতেই সবাই বলে, ডক্টর দুর্জয় অনেকক্ষণ আগেই টলতে টলতে অনিশা ম্যাডামের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তারা কোথায় গিয়েছেন তা জানেন না কেউ। এমতাবস্থায়, দুর্জয় আর অনিশাকে বারবার ফোন করতে থাকে রাণী। কেউ ফোন তোলে না। রাণীর মাথায় জমে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ।
ফোনে অনিশা-দুর্জয় কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে গুপ্তাজিকে ফোন করে রাণী। এত রাতে আচমকা গুপ্তাজি রাণীর থেকে ফোন পেয়ে খানিক ভেবলে যান। ভাবেন নিশ্চয়ই কোনো ইমার্জেন্সি। নয়তো, এত রাতে রাণী ফোন করবে কেন? কিন্তু রাণী ফোনে দুর্জয় আর অনিশার খোঁজ করছে দেখে খানিক অবাক হন গুপ্তাজি। নার্সিংহোমে এসে রাণীকে বলেন অনিশার এখন এখানেই থাকার কথা। এই বলে অনিশাকে ফোন করতে থাকেন তিনি।
আরো পড়ুন: ‘মোবাইলের গোপন ছবি ফাঁস!’ ভয়ে সিঁটিয়ে যমুনা ঢাকির চাঁদনী
এদিকে বাগানবাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়েছে দুর্জয়। অনিশা ভাবতে থাকে, আজকে যদি দুর্জয় ঠিক থাকত তাহলে একসঙ্গে কত ভাল থাকতে পারত তারা। জীবনটা ঘেঁটে যেত না অনিশার। কিন্তু দুর্জয় এখন তাঁর থেকে এতটাই দূরে চলে গিয়েছে যে আজকের রাতেও ঘুমিয়ে পড়েছে। আগের কথা কিছুই মনে পড়ছে না তাঁর। কিন্তু এতে রাণীতো বেশ জব্দ হয়েছে। তার ভালোবাসার মানুষকে আলাদা করেছিল সে। এখন ও বুঝুক ভালোবাসার মানুষকে আলাদা হতে দেখলে কেমন কষ্ট হয়।
এসব ভাবতে ভাবতেই নিজের পোশাক বদলে নেয় সে। আর তখনই বেল বেজে ওঠে। দরজা খুলে দেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে গুপ্তাজি, রাণী, রীতম। তাদের দেখে থমকে যায় অনিশা। তখনই ঘুম ভাঙে দুর্জয়ের। সে জিজ্ঞেস করে, “কে এসেছে অনিশা?” সবাই দুর্জয়কে দেখে ফেঁটে পড়ে ক্ষোভে। একি শুরু করেছে সে? গুপ্তাজি দুর্জয়-অনিশাকে একসঙ্গে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আর রাণীও এতটাই রেগে যায়। সে ঠিক করে আর কথাই বলবে না দুর্জয়ের সঙ্গে।
View this post on Instagram