মনের কথায় ধামাকা! অবশেষে মেজাজ হারিয়ে তীর্থর সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করে নিল রঞ্জা! কী হবে পুতুলের?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) ইতিমধ্যেই চলে এসেছে নতুন চমক। শিমুল, বিপাশা সহ ব্যানার্জী পরিবার এসেছে পুতুলের সঙ্গে দেখা করার জন্য পুতুলের শ্বশুরবাড়িতে। সেইখানেই বারবার রঞ্জা অপমান করতে থাকে শিমুলকে। রঞ্জা শিমুলকে বলে তার লজা বোধ হচ্ছিল পুতুলকে এই বাড়ীর বউ হিসেবে সকলের সামনে পরিচয় দিতে। তখন শিমুল তাকে জিজ্ঞাসা করে তার লজ্জা পাওয়ার এখানে কি কারণ আছে। কিন্তু তিনি শিমুলকে বলেন শিমুলের এই কথার জন্যই শিমুলের সংসার টেকেনি।

এরপর একের পর এক কুকথা শোনাতে থাকে রঞ্জা পুতুল আর শিমুলকে। এইসবটা দেখে কাকিমা বলেন এইসব কথা সে তার বাড়ির লোককে বলতে পারেনা। তিনি এও বলেন তীর্থ নিজেই পুতুলকে বিয়ে করেছে। তার পরিবারের কাছে নিজে গিয়েই পুতুলের হাত চেয়ে নিয়েছে। তারা নিজে থেকে পুতুলকে তার কপালে গছিয়ে দেয়নি। তারা শুধু চান তাদের মেয়ে ভালো থাকুক। বিয়ে বাড়িতে তারা খেতে আসেননি। তাদের মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছেন।সেটা শুনেই আরও রেগে যায় রঞ্জা। তীর্থও বলে তার শশুরবাড়ির লোককে তীর্থ এইভাবে অপমান করতে পারে না। সেটা শুনেই চলে যায় রঞ্জা। সে বলে এখন আর কোনও কথা বলবে না সে।

এরপর সবাই কথা বলে চলে যেতে চাইলে পুতুল বলে তাদের খেয়ে যেতে। কিন্তু শিমুল বলে তারা খাবে না, তখন পুতুল বলে একলকে খেয়ে যেতে। পুতুলের কথা কেউ ফেলতে পারেন না। আর শিমুল প্রথমে খাইয়ে দেয় পুতুলকে। তারপর তারা সকলেরই খেয়ে দেয় বেরিয়ে যাবে। তার আগে তীর্থকে কাকিমা বলেন পুতুলকে দেখে রাখতে। তিনি এও বলেন পুতুল তাদের কাছে খুব কাছের। রঞ্জা যদি তাদের সামনে পুতুলের সঙ্গে এইভাবে ব্যবহার করে তাহলে তারা না থাকলে না জানি কি কি করবে। সেটা শুনেই শিমুলও পুতুলকে বললো তীর্থকে না বলে বাড়ি থেকে বেরোতে না।

পুতুলও তাকে জানায় স্যার তাকে নিয়ে গেলেই সে বাড়ি যাবে। সবারই চলে যাওয়ার পর রঞ্জাকে তীর্থ বলে পুতুলের সঙ্গে এইভাবে ব্যবহার না করতে। রঞ্জা তীর্থকে বলে সে এখন অনেকব বদলে গেলে। সেটা শুনেই তীর্থ বলে তাদের মধ্যে আগে যেটা ছিল সেটা সম্পূর্ণভাবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সে তার থেকে বেশি কিছুভাবেনি রঞ্জাকে সেই কোনও খারাপভাবে তার সঙ্গে মেশেনি বা তার দাদাকে ঠকায়নি। সেটা বলেন চলে যায় তীর্থ। ফুলশয্যার সময় পুতুল তাকে বলে তার ঘুম পাচ্ছে।

আরো পড়ুন: অনুরাগের ছোঁয়ায় মহাপর্ব! ইরার সিঁথিতে সিঁদুর দিল সূর্য! রাগে-দুঃখে-অপমানে অর্জুনের সঙ্গে বিয়েতে রাজি দীপা

তীর্থ তাকে জিজ্ঞাসা করতেই সে বলে তার বাড়ি নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। তারপর পুতুল তাকে বলে সে তাকে জড়িয়ে ঘুমাতে চায়। তীর্থও তাকে বারন করেনা কিন্তু সেইসময় দরজা ধাক্কা আওয়াজ শোনা যায়। তীর্থ দরজা খুলে দেখে রঞ্জা। সে মাথা ব্যথার ওষুধ চায় তীর্থের কাছে। কিন্তু ওষুধ দেওয়া পরও সে ঘর থেকে বেরোতে চায়না। সেটা দেখে বিরক্ত হয়ে যায় তীর্থ। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার আর কি কি করতে চলছে রঞ্জা, সে কি কোনদিন মেনে নেবে পুতুলকে?

You cannot copy content of this page