একদিকে রোশনাইয়ের অপারেশন! আর গরিমার ‘পুলিশ কেস’ হুমকি, আরণ্যক দুলছে পেন্ডুলামের মতন! ‘বিরক্তিকর গল্প’ রোশনাই শেষের দাবি দর্শকদের

স্টার জলসার ‘রোশনাই’ (Roshnai) ধারাবাহিক ক্রমশ নিজের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে! আজকের পর্বে দেখা গেল, একদিকে রোশনাইয়ের অপারেশন হচ্ছে, অন্যদিকে আরণ্যক তাকে দেখতে ছটফট করছে। কিন্তু গরিমা তার ধৈর্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিচ্ছে! আরণ্যক রোশনাইকে দেখতে যাবে, নাকি যাবে না—এই নিয়েই যেন পুরো এপিসোড জুড়ে ঠেলাঠেলি চলছে। কিন্তু যেই মুহূর্তে আরণ্যক ফাঁস করল যে রোশনাই ইচ্ছাকৃতভাবে গরিমাকে জিততে দিয়েছিল, তখন যেন বজ্রপাত হলো গরিমার জীবনে!

এতদিন সে ভাবছিল, নিজেই প্রতিভাবান, অথচ আসল সত্যি জানতে পেরে তার আত্মসম্মান রীতিমতো ধুলোয় মিশে গেল। এদিকে, গরিমার মান-অভিমান পেরিয়ে বিষয়টা এবার পুলিশ কেস পর্যন্ত পৌঁছে গেছে! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। এইবার আরণ্যকের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের মামলা দায়ের করার হুমকি দিচ্ছে গরিমার পরিবার। তার মানে, রোশনাই হাসপাতালে ছটফট করবে, আর অন্যদিকে গরিমা থানার বারান্দায় চোখের জল ফেলবে—এই নিয়ে চলবে পরের কয়েক সপ্তাহের জমজমাট নাটক!

Tollywood serial Roshnai, star jalsha, Entertainmentnews, entertainment, Tollywood serial রোশনাই, টলিউড, স্টার জলসা, বিনোদন

তবে গল্পের এই মুচমুচে মোড়ে দর্শকদের একটাই প্রশ্ন, “গরিমা কি সত্যিই মানসিক নির্যাতনের শিকার, নাকি স্রেফ ট্র্যাক লম্বা করার বাহানা?” আরণ্যক কিন্তু পুরোপুরি ‘সিরিয়াল হিরো’ মুডে চলে গেছে। আদিত্য জির সঙ্গে তার যে কথোপকথন হল, সেটা শুনে বোঝা যাচ্ছে, দু’জনেই রোশনাইয়ের আত্মীয় হতে চাইছে! বন্ধু বনাম আত্মীয়ের মহাযুদ্ধ চলছে হাসপাতালের করিডরে। আদিত্য জি বলে, “তুমি কে রোশনাইকে দেখতে আসার?” উত্তরে আরণ্যক জানিয়ে দিল, “তুমি যে পরিচয়ে এসেছ, আমিও সেই পরিচয়ে এসেছি!”

আরও পড়ুনঃ “মাকে দেখে আজও বহু মানুষ ক্রাশ খায়!” মা মধুমন্তী মৈত্রকে নিয়ে অকপট মেয়ে অনুষা

বাহ! এই সংলাপ শুনে দর্শকদের মধ্যে এখন বাজি ধরার লড়াই চলছে—শেষমেশ রোশনাই কার হবে? আর এরপর এল সিরিয়ালের ‘তরল সেন্টিমেন্ট’ পর্ব। আরণ্যক আর রোশনাই একে অপরকে ক্ষমা চাইছে, একে অপরের ভুল বোঝাবুঝির ব্যাখ্যা দিচ্ছে। রোশনাই বলছে, “আমি জানতাম না আমার অসুখের ব্যাপারে, তাই দোষ লাগিয়েছি!” আরণ্যকও বলছে, “ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই, একসময় তুমি আমার স্ত্রীর পরিচয় ছিলে!” বাহ! এতো বড় সম্পর্কের আখ্যান তৈরি হয়ে গেল এক মুহূর্তে!

অর্থাৎ, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হলেও ‘এক্স’ ট্যাগ দিয়ে হাসপাতালের বেড পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া যায়! এখন প্রশ্ন, এর পরের পর্বে কী হবে? গরিমার পুলিশ কেস কি সত্যি দায়ের হবে, নাকি গরিমা হঠাৎ নাটকীয়ভাবে মন বদলাবে? রোশনাই কি সত্যিই নতুন জীবন শুরু করতে পারবে, নাকি হাসপাতালে থেকেও তাকে আরও ক’টা প্লট টুইস্টের শিকার হতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অতি নাটকীয় সংলাপ আর কৃত্রিম আবেগের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে থাকতে হবে!