এখন‌ও শিমুলের কাছে ফিরে আসার দুর্নিবার টান শতদ্রুর! শিমুলকে চাকরি দিল সে

এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের সবথেকে কাছের এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিকটির নাম কার কাছে মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । এই ধারাবাহিকটি খুবই অল্প সময় দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে। শুরুর পর থেকেই টিআরপিতে ভালো ফল করলেও এখন দারুন রকমের পারফরম্যান্স এই ধারাবাহিকের। ‌ টিআরপি তালিকায় চতুর্থ স্থানে রীতিমতো কামাল করছে।

বাস্তব সম্মত গল্প এই ধারাবাহিকের পর্দায় ফুটে উঠেছে। আর যে কারণে তা আরও বেশি করে দর্শক গ্রাহ্যতা পাচ্ছে।‌ বাঙালি দর্শকরা এখন এই মুহূর্তে বাস্তবসম্মত ধারাবাহিক দেখতে বেশি পছন্দ করছেন। আর যে কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কার কাছে কই মনের কথা। ‌এই গল্পের নায়িকা বধূ নির্যাতনের শিকার। আর নির্যাতিত হওয়ার পর তার জীবনের লড়াইয়ের গল্প ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে।

এইসবের পাশাপাশি এই ধারাবাহিকে এক নির্ভেজাল প্রেমের গল্প ফুটে উঠেছে। এই ধারাবাহিকে দেখা গেছে শিমুল বিয়ের আগে ভালোবাসত শতদ্রুকে। তবে তাকে বিয়ে করতে পারেনি। কারণ সেই সময় শতদ্রু চাকরি করত না, আর তাই শিমুলের থেকে সে চাকরি পাওয়ার জন্য পাঁচ বছর সময় চেয়েছিল, কিন্তু শিমুল অপেক্ষা করতে পারেনি , শিমুলের অপেক্ষা করার মতো পরিস্থিতি ছিল না, আর তাই পরাগের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে যায়।

কিন্তু এরপর শিমুল যাকে বিয়ে করে সে তাকে প্রতিনিয়ত শারীরিকভাবে মানসিকভাবে নির্যাতন করে। শিমুল প্রতিবাদ করলেও সে মনে করে এবার সে নিজের পায়ে দাঁড়াবে প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু সে মন দিয়ে শিখেছে নাচ। পড়াশোনাটা তার সেই অর্থে শেখা হয়ে ওঠেনি। তাহলে কিভাবে চাকরি পাবে সে? এরই মধ্যে কলকাতায় বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে শিমুলের দেখা হয়ে যায় শতদ্রুর সঙ্গে।

এরপর সবাই একসঙ্গে চা খেতে যায়। এরপর শতদ্রু এবং শিমুল আলাদা কথা বলতে গেলে শতদ্রু শিমুলকে বলে এত অত্যাচার সহ্য করে কেন সে ওই বাড়িতে পড়ে আছে? এর উত্তরে শিমুল বলে তার কাছে চাকরি নেই তাই সে বেড়িয়ে আসতে পারছেনা। এটা শুনে শতদ্রু শিমুলকে তার অফিসে চাকরি আছে, কিন্তু শিমুল সেই চাকরি করতে চায়না। তখন শতদ্রু তাকে বলে সে শিমুলের কাছে ফিরতে চায় বলে তার একটা ফেরার তাগিদ রয়েছে। কিন্তু সেই তাগিদ শিমুলের কাছ থেকে পাচ্ছে না। শেষপর্যন্ত কি বিপাশাদের কথা শুনে শিমুল চাকরিতে রাজি হয়ে যাবে?