রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে পরাগ-প্রিয়াঙ্কার মুখোমুখি শিমুল, বরের পরকীয়া দেখে কী শতদ্রুর কাছেই ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে শিমুল?

শুরু থেকেই জনপ্রিয় জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)। পাঁচ বন্ধুর বন্ধুত্বের গল্প নিয়েই ছিল ধারাবাহিকের পটভূমি। বেঙ্গল টপার এই ধারাবাহিকে পরবর্তীতে, শাশুড়ি-বউমার বন্ধুত্ব আর সুসম্পর্কের ছবি তুলে ধরা হয়েছে এই মেগা ধারাবাহিকে (Bengali Serial)।

তবে সবকিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে শিমুলের উপর তাঁর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন আর তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিমুলের জীবন যুদ্ধ। সম্প্রীতি গল্পের পটভূমি দেখে বেজায় আগ্রহ বেড়েছে দর্শকদের মনে। টিআরপি তালিকায় চোখ রাখলেই তা বেশ বোঝা যায়। কাহিনীতে টুইস্ট আনার পর তরতরিয়ে বেড়েছে রেটিং। আর তাই দর্শকদের ধরে রাখতে একের পর এক নতুনত্ব চমক এনে চলেছে ধারাবাহিকের নির্মাতারা।

গত এপিসোডেই আমরা দেখেছি, এই প্রথম শিমুলের পাশে দাঁড়িয়ে শতদ্রুর মাকে উচিত শিক্ষা দিল পরাগ। স্বামী হিসেবে একেবারে উচিত কাজ করেছে সে। যদিও এ কাজ পরাগের কাছে অনভিপ্রেত। শিমুলের পিঠ বাঁচাতে সে কখনো তার পক্ষ নেবে না। দর্শকরা ভেবেছিলেন এবার হয়তো অন্য খাতে বইবে শিমুল ও পলাশের সম্পর্ক। ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে কাছাকাছি আসবে দুজন। নাকি ডিভোর্সই একমাত্র সমাধান?

অন্যদিকে, এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে চলছে টানটান উত্তেজনা। শিমুল পরাগের এখনও মুখ দেখাদেখি নেই। প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কাকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। তার সঙ্গে অহরহ সময়ও কাটাচ্ছে পরাগ। প্রিয়াঙ্কাও বেশ পছন্দ করে পরাগকে। আর তাই পরাগ শিমুলের মধ্যে শুধু শতদ্রু নয়। প্রিয়াঙ্কাও আছে।

বান্ধবীদের নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছে শিমুল। আর একই রেস্টুরেন্টে পাশের টেবিলে বসে পরাগ-প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা পলাশকে বলবে, ‘নিশ্চয় আর কিছুক্ষন পর এখানে শতদ্রু আসবে।’ এদিকে বিপাশা শিমুলকে বলবে, সে যেন শতদ্রুকে একটা অন্তত সুযোগ দেয়। শতদ্রু শিমুলকে ভালবাসে। আর শিমুলকে ভাল রাখতে শুধু সেই পারে।