অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় এখন জি বাংলার পর্দায় চলছে দুটি ধারাবাহিক। এবং দুটি ধারাবাহিকই দারুন রকম ভাবে উত্তেজনায় ভরপুর। আর তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকটি অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই দারুণ রকমের সফলতা অর্জন করেছে। টিআরপি তালিকাতেও এখন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছুটছে এই ধারাবাহিকটি।
আসলে বাস্তবসম্মত এই ধারাবাহিকের গল্প নিঃসন্দেহে দর্শকদের কাছে ভীষণ রকমের জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মানালি দে, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় অভিনীত এই ধারাবাহিকটি তীব্রভাবে বাস্তবধর্মী হওয়ার জন্যই এই পরিমাণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। বধূ নি’র্যা’ত’নে’র মতো প্রাসঙ্গিক একটি বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে।
এই ধারাবাহিকে এমন দুটি পুরুষ চরিত্রকে দেখানো হয়েছে যারা নারীকে তীব্রভাবে অসম্মান করে। যারা মনে করে নারী জাতির জন্মই হয়েছে পুরুষের তাবেদারি করার জন্য। নারী মানেই সে পুরুষের দারা পরিচালিত হবে। নারী সব সময় পুরুষের কথাতেই উঠবে, বসবে তার ইচ্ছেতেই পরিচালিত হবে। তার নিজের শখ আহ্লাদ থাকা পাপ।
শিমুলের বর পরাগ এবং দেওর পলাশ মনে করে নারীর কথা শোনার, তার ভালোলাগাকে প্রাধান্য দেওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই কারণ সে তুচ্ছ। সে শুধুমাত্র একজন ভোগ্য পণ্য ছাড়া আর কিছু নয়। আর বাড়ির এই দুই পুরুষের বিশ্বাসেই আঘাত হেনেছে শিমুল। আর যা মোটেও সহ্য হয়নি তাদের।
আগে পরাগ পলাশের মা অর্থাৎ শিমুলের শাশুড়ি দুই ছেলের প্রতি নিজের আনুগত্য বোঝানোর জন্য সব সময় তাদেরকেই সমর্থন করতেন। তারা অন্যায় করছে জেনেও কখনও প্রতিবাদী হননি। কিন্তু শিমুল তার চোখ খুলে দিয়েছে। এখন তিনি শিমুলের দেখানো পথে হাঁটছেন। আর যা সহ্য করতে পারছে না দুই ছেলে। আর তাই পলাশ নিজের দাদাকে বুদ্ধি দিয়েছে বৌদিকে এই পৃথিবী থেকে স’রি’য়ে দেওয়ার।
এরই মাঝে বিধবা মধুবালা অর্থাৎ শিমুলের শাশুড়ি শিমুলের কথায় ঠাকুর বরণ করতে গেলে তেড়ে আসে পরাগ-পলাশ। তারা কিছুতেই নাকি এই পাপ কাজ হতে দেবে না। আর এই সময় দেবীর হাত থেকে ত্রিশূল নিয়ে রণচন্ডী মূর্তি ধারণ করে শিমুল। তার এই রূপ দেখে ভয় পেয়ে যায় পরাগ-পলাশ। স্কুল শিক্ষক পরাগকে আয়না দেখানোর পর শিমুল পলাশের দিকে তাকিয়ে বলে এ তো যেকোনও সময় মানুষ খু’ন করে দিতে পারে। তবে কী শিমুল বুঝতে পেরে গেছে পলাশ থাকে খু’নে’র পরিকল্পনা করেছে।