পাড়ার বন্ধুদের উপদেশে অবশেষে অত্যাচারী পরাগের হাত ছেড়ে শতদ্রুর হাত ধরল শিমুল! জমাটি পর্ব

এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় চলা প্রায় প্রত্যেকটি মেগা সিরিয়াল‌ই দারুণ চমকপ্রদ হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকটি ধারাবাহিকের গল্পই দারুন আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকের জমে গেছে। আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চয়ই কোন ধারাবাহিকের কথা বলছি। হ্যাঁ, এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha)

পাঁচ বন্ধুর একে অপরের সঙ্গে সমাজের সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার এই ধারাবাহিকটি অল্প সময়েই দর্শকগ্রাহ্যতা পেয়েছে। বর্তমানে এই ধারাবাহিকের এপিসোড গুলি এতটাই জমে উঠেছে যে, টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে স্থান করে নিয়েছে এই মেগা। চলতি সপ্তাহেও চতুর্থ স্থান থেকে টলানো যায়নি এই ধারাবাহিকটিকে।

প্রতিদিন বাস্তব সম্মত বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরছে এই মেগা। বৈবাহিক ধ’র্ষ’ণ থেকে বধূ নি’র্যা’ত’ন, স্বামীর স্ত্রীর গায়ে হা’ত তোলা দেখতে দেখতে দর্শকরা বলছেন এমন ঘটনা তো বাস্তব সমাজে হরহামেশাই হয়। আর সেই কারণেই এই ধারাবাহিক দর্শকদের এতটা আকর্ষণ করছে।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলছে নারী নির্যাতন। প্রতিবাদ না করে নীরবে সহ্য করে নিয়েছেন নারীরা। শিমুলের শাশুড়ির ওপরেও হয়েছে নারী নির্যাতন। কিন্তু তিনি প্রতিবাদ করেননি। তবে শিমুলের প্রতিবাদ দেখে এতদিনে তিনি প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন। মধুবালা বুঝতে পেরেছেন যে অত্যাচারটা শিমুলের ওপর হচ্ছে সেটা কালকে তার সঙ্গে বা তার মেয়ে পুতুলের সঙ্গেও হতে পারে।

এরপর দেখা যায়, কোন এক কারণবশত শিমুল আর তার প্রতিবেশী বান্ধবীরা কলকাতায় গেছে। সেখানে হঠাৎ করে তাদের দেখা হয়ে যায় শতদ্রুর সঙ্গে। এরপর শিমুলের বান্ধবীরা যখনই জানতে পারে এই শতদ্রুই শিমুলের প্রেমিক ব্যক্তি তখনই রাজি হয়ে যায় একসঙ্গে বসে চা খাওয়ার জন্য। শিমুল প্রথমে না না করলেও পরে বিপাশা সুচরিতাদের কথায় রাজি হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, বিপাশা শতদ্রুকে বলছে, শিমুল যদি এখন তার কাছে ফিরতে চায় তাহলে সে কি শিমুলকে মেনে নেবে? এর জবাবে শতদ্রু বলে, শিমুল যদি এই মুহূর্তেও তার কাছে ফিরে আসে তাহলে সে নিজের সৌভাগ্যবান বলে মনে করবে। এই শুনে চোখে জল চলে আসে শিমুলের। তাহলে কী সত্যি সত্যিই পরাগকে ছেড়ে দেবে শিমুল।