একেই বলে প্রকৃত ভা’লোবা’সা! শিমুলের জীবন সং’শ’য়! নিজের প্রা’ণ দিয়ে শিমুলকে বাঁ’চা’তে বদ্ধপরিকর পরাগ! কী করবে সে?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকটি যেভাবে শুরু হয়েছিল বর্তমানে সেখান থেকে নব্বই ডিগ্রি ঘুরে গেছে। পরাগের ভালো হয়ে‌‌ ওঠার মধ্যে দিয়ে মরুপ্রায় জীবনে প্রা’ণ খুঁজে পেয়েছে শিমুল।

সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ভালো থাকতে চাওয়া শিমুলের জীবনে এবার নেমে এলো প্রা’ণ সংশয়! আড়া’ল থেকে সবটাই আঁ’চ পেয়েছে পরাগ। শিমুলকে বাঁ’চাতে নিজের জীবন দিয়ে র’ক্ষা করবে বলে ব’দ্ধপরি’কর সে।

ধারাবাহিকের গল্পে দেখা গেছে, পুতুলের বিয়ের দিন সকালে ভয়াবহ অ্যা’ক্সিডে’ন্টের পর কার্যত ঘরবন্দি পরাগ। পরাগের চাকরিটি দ’ক্ষ হাতে সামলাচ্ছে অর্ধাঙ্গিনী শিমুল। কয়েক মাসের মধ্যে স্কুলের ছেলেমেয়েদের কাছে ‌পছন্দের শিক্ষিকা হয়ে উঠেছে শিমুল। প্রাথমিকভাবে পড়ুয়ারা শিমুলকে বি’রক্ত করলেও এখন তারাই শিমুলের কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। গল্পের শুরুতে দেখা যায়, শিমুলের কাছে ক্ষ’মা চেয়ে নিয়েছে পড়ুয়ারা। তাঁরা বলে, শিমুলের মতো একজন শিক্ষিকাকেই তাঁরা এতদিন ধরে চাইছিল।

শিমুল তাঁদের বলে, একদিন সময় করে পরাগ তথা প্রাক্তন স্যারের সঙ্গে দেখা করে আসতে। শিমুলকে পেয়ে পেয়ে তারা যেন স্যারকে ভুলে না যায়। নতুন শিক্ষিকার মুখে স্যারের কথা শুনে পরাগের সঙ্গে দেখা করতে যেতে রাজি হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরে আসে শিমুল। দিনের শেষে পরাগের সঙ্গে সমস্ত কথা ভাগ না করলে দিন সম্পূর্ণ হয় না শিমুলের। এদিকে জেল খে’টে ফিরে এসেছে প্রতীক্ষা। আর ফিরেই শিমুলের জন্য মৃত্যু’ফাঁদ পাতছে সে।‌

প্রতীক্ষার নতুন পরি’ক’ল্পনা জানতে পেরে গেছে পরাগ। সে এখন সর্বদাই মনে মনে ভীত শিমুলের কথা চিন্তা করে।‌ শিমুল যখন বাড়ি থেকে বেরোয় তখন পরাগ বারবার করে সাব’ধান করে শিমুলকে। সে যেন সাব’ধানে থাকে। পথে কোন‌ও বিপদ হলে তৎক্ষণাৎ জানায়। পরাগের মুখে বারবার সা’বধা’ন বাণী শুনে একটু অবাক হয় শিমুল। মনে মনে ভাবে তবে কি পলাশ আর প্রতীক্ষা নতুন করে ষড়’য’ন্ত্র করছে? কোন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে পারেনা শিমুল। বরং পরাগের মনের ভ’য় কাটাতে নানান ধরনের কথা বলতে থাকে সে।

এদিকে পরাগ তখন মনে মনে শ’ঙ্কিত। শিমুলের জীবন সং’শয়! প্রতীক্ষার ষ’ড়য’ন্ত্রের কথা আ’ড়াল থেকে শুনে নিয়েছে সে। পরাগ ভাবতে থাকে এত মিষ্টি একটা মেয়েকে মারার প্ল্যা’ন করেছে প্রতীক্ষা! পরাগের জীবন থাকতে শিমুলের গায়ে কোনও আঁচ ফেলতে পারবে না তাঁর ভাইয়ের বউ! এর মধ্যে শিমুলের বেরোনোর সময় হয়ে যায়। পরাগকে বি’দায় জানিয়ে এগিয়ে চলে শিমুল। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় পরাগের সাব’ধান বা’ণী বারংবার কানে বাজতে থাকে শিমুলের। পরাগ কী পারবে শিমুলকে বাঁ’চা’তে?