দীপা সঠিক সময়ে মুখ খোলে, শিমুল সদাই তেজী আর প্রতিবাদী! পরিবারে প্রয়োজন দুই ধরনের মেয়েরই
এই মুহূর্তে বাংলা ধারাবাহিককের (Bengali Television) দুনিয়ায় বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক (Bengali Serial) দর্শকদের ভীষণ পছন্দের। আসলে সেই ধারাবাহিকগুলি ভীষণই বাস্তবিক। আর বাস্তবতার কাছাকাছি থাকা এই ধারাবাহিকগুলি এখন দর্শকদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে বেশি পরিমাণে। দর্শকরা আর প্যানপ্যানে ঘ্যানঘ্যানে নায়িকাদের পছন্দ করেন না। পছন্দ করেন প্রতিবাদী নায়িকাদের।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনে এমন অনেক প্রতিবাদী নায়িকাদের দেখা মিলছে। যারা অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করার বদলে অন্যায়ের প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। তবে সবার প্রতিবাদের ধরণ অবশ্যই একরকম নয়। কেউ ধৈর্য ধরে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করেন, কেউ প্রতি মুহূর্তেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন।
এই যেমন ধরা যাক স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের নায়িকা দীপা। দীর্ঘদিন ধরে একটি ভ্রান্ত ধারণায় আটকে থেকে তার স্বামী তাকে অপমান করেছে, অসম্মান করেছে। পর পুরুষের সঙ্গে নাম জড়িয়ে থাকি তার উদ্দেশ্য নোংরা মন্তব্য করেছে। কিন্তু না কথায় কথায় প্রতিবাদ করেনি দীপা। সে অপেক্ষা করেছে সঠিক সময়ের জন্য। তবে নিজের আত্মসম্মানকেও বিসর্জন দেয়নি সে। ধৈর্য ধরেছে। সে বুঝিয়ে দিয়েছে ধৈর্য ধরেও উপযুক্ত জবাব দেওয়া যায়।
আর অন্যদিকে রয়েছে জি বাংলার কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুল। শ্বশুরবাড়িতে আসা ইস্তক সে অপমানিত, অসম্মানিত, লাঞ্ছিত হয়ে চলেছে। বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু না মুখ বুজে সঠিক সময় আসবে বলে বসে থাকেনি সে। প্রতিবাদী হয়েছে সে।
আর এই দুই চরিত্রকে দেখে দর্শকরা বলছেন, সঠিক সময়ের অপেক্ষা যেরকম করা উচিত সেই রকমই অন্যায় হচ্ছে দেখে সঠিক সময়ের অপেক্ষা না করে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদী হওয়াও উচিত। সমস্বরে তারা বলছেন সমাজে দীপার মতো মেয়েরও যেরকম প্রয়োজন রয়েছে সেই রকম শিমুলের মতো মানসিকতার মেয়েরও দরকার। শিমুল না দীপা আপনার কাছে কোন জনের প্রতিবাদের ধরণ বেশি পছন্দের?