ধারাবাহিক শুধুই বিনোদনের উদ্দেশ্যেই নয়, কিছু ধারাবাহিক থেকে আমরা পাই সামাজিক বার্তা। যা আমাদের সচেতন নাগরিকের দিকে ঠেলে দিতে সাহায্য করে। বর্তমানে টিআরপির উপরই টিকে রয়েছে ধারাবাহিকগুলো। যে ধারাবাহিকের টিআরপি যত বেশি, সেই ধারাবাহিক তত দিন স্থায়ী। আর তাই টিআরপি বাড়ানোর জন্য ধারাবাহিকে দেখানো হয় আজগুবি সমস্ত ঘটনা।
এছাড়াও বর্তমানে প্রতিটি ধারাবাহিকে ত্রিকোণ প্রেম আর প’রকীয়া লক্ষ করা যায়। যা খুবই খারাপ বার্তা দেয় জনসমাজকে। তবে এরমধ্যেই কিছু ধারাবাহিক ভালো বার্তা দিয়েই টিকিয়ে রেখেছে নিজেদের টিআরপি। এরমধ্যে একটি হল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। এই ধারাবাহিকে নেই কোনও প’রকীয়া বা ত্রিকোণ প্রেমের ছোঁয়া। ধারাবাহিকের নায়ক সূর্য ও নায়িকা দীপা একে ওপরের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া সত্বেও তাদের জীবনে আসেনি কোনও অন্যজন।
যা দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে। এছাড়া এই ধারাবাহিক শুরুতেই দিয়েছিল সমাজকে এক অসাধারণ বার্তা। আমরা অনেকেই রূপ নিয়ে মানুষকে বিচার করি। কিন্তু রূপই যে প্রধান নয় তা বুঝিয়েছিল ধারাবাহিকের নায়ক সূর্য। যে নিজে একজন সুন্দর সু-পুরুষ পাশাপাশি একজন ডাক্তার। তা সত্বেও নিজের জীবনসঙ্গিনী রূপে বেছে নিয়েছিল একজন কালো গায়ের রং যুক্ত সাধারণ ভালো মনের মানুষকে।
গোটা পরিবার তার বিরুদ্ধে যাওয়া সত্বেও সে তাকেই যোগ্য সম্মান দিয়ে নিজের ঘরে বিয়ে করে নিয়ে আসে। বহুদিন তারা একে ওপরের থেকে আলাদা থাকার পর ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসছে সূর্য-দীপা। নতুন এই পথ চলাকে বেশ উপভোগ করছেন দর্শকও। এরইমাঝে আবারও এক ধামাকা দিল সূর্য। বুঝিয়ে দিল এতো বছরেও সে একটুও পাল্টায়নি। তার ফিরে আসা সেই মনোভাবকে আবার পর্দায় দেখতে পেয়ে খুশি সকলেই।
এক বিয়েবাড়িতে পাত্রী কালো হওয়ায় পাত্র বিয়ে করতে নারাজ হয়। আর তাই দেখে সূর্য রেগে ফেটে পরে। আর সেসময় লেখিকা তার মুখে যে সংলাপ দিয়েছে, তা মন ছুঁয়ে গেল সকলের। সূর্য বলে, “যে মা কালীর সামনে আমরা মাথা নত করে পুজো করি, মা মা করি, অঞ্জলি দিই, সেই মা কালীর মতো দেখতে একটা মেয়েকে বউ করে নিয়ে এতো লজ্জা করছে তোমাদের? এটা একটা সুস্থ সমাজের মানুষের পরিচয়?”