স্টার জলসার শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক দুই শালিক (Dui Shalik)। এই নতুন ধারাবাহিক অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই সকলের মন জয় করেছে। ধারাবাহিকে কামব্যাক করেছেন ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) খ্যাত অভিনেত্রী তিতিক্ষা দাস (Titiksha Das)। তিতিক্ষা এক শালিক হলে এই ধারাবাহিকের অপর শালিক নন্দিনী দত্ত (Nandini Dutta)। বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্প জমে ক্ষীর।
দুই শালিক ধারাবাহিক আজকের পর্ব ৮ অক্টোবর |Dui Shalik Serial Today Episode 8th October
ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতে দেখানো হয় কোনো এক ঝড় বৃষ্টির রাতে ঝিলিক, আঁখি দুই বোন দুজনেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছে। কিন্তু আঁখি খুব শান্ত মেয়ে। সে কিছুই চেনে না তাই জন্য সে কোথায় যাবে কিছু বুঝতে পারছে না। এরপর দেখা যায়, হঠাৎ ঝিলিক এবং আঁখি মুখোমুখি হয়েছে। বৃষ্টির রাতে দুই বোন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, প্রথমে দুজন দুজনকে দেখে তো খুব অবাক হয়। এরপর আঁখিকে দেখে ঝিলিকের হঠাৎ করে আপনজন বলে মনে হয়।
আঁখির চো’খের জ’ল দেখে অদ্ভুতভাবে ঝিলিকের চো’খেও জ’ল চলে আসে। আঁখির চো’খের জ’ল সে একেবারেই দেখতে পারে না অদ্ভুত একটা টানের মত তার চোখ থেকেও জল গড়িয়ে পড়ে। তাই আঁখিকে সে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। এরপর দেখা যায় দুজনে একটা চায়ের দোকানে বসেছে। আর সেখানে বসে আঁখির কথা শুনতে চায় ঝিলিক। আঁখিরও কেমন যেন ঝিলিককে দেখে খুব কাছের মনে হয়। এর আগে কেউ কখনও আঁখির চোখের জল মুছিয়ে দেয়নি।
চায়ের দোকানের লোকটি ও যেন তাদের দুজনকে দেখে বলে ওঠে যে তারা যমজ বোন। ঝিলিক জানায়, তারা এক দেখতে ঠিকই কিন্তু যমজ বোন না তাদের মধ্যে আদলে কোন মিল নেই। এরপর দেখা যায়, আঁখি জানায় সে কোনো এক বাড়িতে আশ্রিত, সে সেখানেই থাকে, আর সেই বাড়ি থেকে তাকে বছরে দুটো জামা দেওয়া হয়, আর দুবেলা খেতে দেওয়া হয়। তার বিনিময়ে সে বাড়ির সব কাজ করে। তার শুধু প্রাণটাই রয়েছে, আর কিছু নয়। তাই সেজন্য সে ম’রতে চায়।
আঁখির কষ্টের কথা শুনে আবার চোখে জল চলে আসে ঝিলিকের। ঝিলিক জানায়, এখন থেকে আঁখি আর মোটেও একা নয়, ঝিলিক রয়েছে তার সঙ্গে। চা খেতে গিয়ে আঁখির হাতে মা’রের দাগ দেখে ফেলে ঝিলিক। যা দেখে প্রতিবাদে গর্জে ওঠে সে। ঝিলিক ঠিক করে আঁখিকে যারা ক’ষ্ট দিয়েছে তাদের দ্বিগুণ ক’ষ্ট ফেরত দেবে। কিন্তু আঁখি ঝিলিককে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ের মাঝেই গুরুতর অসুস্থ তেঁতুলপাতার নায়িকা! কি হলো অভিনেত্রী ঋতব্রতা দের? তবে কি এবার নায়িকা বদল?
এদিকে অপর প্রান্তে দেখা যায়, আঁখিকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে গৌরবের মা তো খুব চিন্তা করতে থাকে। বাড়ির সবাইকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন আঁখি বাড়িতে আছে কিনা, কেউ তাঁকে দেখেছে কিনা। অবশেষে সবাইকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে, ঠাম্মি তাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে, কারণ প্রিয়রঞ্জন কিনা আঁখিকে প্রাণে মে’রে ফেলার হু’মকি দিয়েছে। ওইদিকে ঝিলিক তার অচেনা বোন আঁখিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর কি হবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা