চিত্রার পর্দা ফাঁ’স! সেবাগঞ্জে এসে হাতেনাতে চিত্রাকে ধরে সবক শেখালো কথা
স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কথা টিআরপি (TRP) তালিকাতেও ভালো ছাপ ফেলেছে । গত বছরের শেষ দিকে ‘কথা’ (Kothha) ধারাবাহিকে জুটি বাঁধেন সাহেব ভট্টাচার্য-সুস্মিতা দে। শুরুতে অপরিচিতই ছিলেন তাঁরা। তবে সিরিয়াল যত এগিয়েছে, গাঢ় হয়েছে তাঁদের বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বের ছাপ স্পষ্ট টিভির পর্দায়। ইতিমধ্যেই কথা ও এভি-র জুটি মন কেড়েছে দর্শকদের।
কথা আজকের পর্ব ১লা নভেম্বর (Kothha today episode 1st November)
এদিন ধারাবাহিক শুরুতেই দেখা যায় অগ্নির রাগের চোটে ঘরের সমস্ত কিছু ভাঙচুর করছে। তার কথা অনুযায়ী তার মাকে সে চিনতে পারবে না এটা হতেই পারে না। ঠিক ২২ বছর আগে তার মায়ের সাথে যা করেছিল এই বাড়ির লোক এইবারও তাই করছে। কথা থাকে মাথা ঠান্ডা করতে বলে এবং জানায় সে অবশ্যই এই সমস্যার সমাধান করেই ছাড়বে। অগ্নি জানিয়ে দেয় সে কিছুই করতে পারবে না কারণ সে তার মেজমা কে চিনতে পারছে না তার মেজমা এবং তার মা তারা দুজনে ভালো বন্ধু ছিল। আর ঠাম্মি কিছুই করার নেই। এই বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে কেউ কোনো লাভ হবে না।
কথা জানায় সে তার মায়ের পক্ষে, প্রমাণ ঠিক জোগাড় করে আনবে সেই প্রয়োজনে প্রান্তিক বিশ্বাস থেকে জয়দেব বিশ্বাস সকলের কাছে গিয়ে প্রমাণ জোগাড় করবে। কথা প্রত্যয়ের সাথে আলোচনা করে জয়দেব বিশ্বাসের সাথে দেখা করার সুযোগ করে ফেলে। তারা সকলে জয়দেব বিশ্বাসের সাথে জেলে গিয়ে দেখা করলে জয়দেব বিশ্বাস অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে তাদের আসার কারণ। অগ্নি জানতে চায় জয়দেব বিশ্বাস ছায়া মাসিকে কোথা থেকে নিয়ে এসেছে? জয়দেব জানায় সে শুনেছে ছায়া মাসি গুহ বাড়ির বড় বউ কিন্তু এই গুহ বাড়ির যে বড় বউকে খাওয়ানোর মতো সামর্থ্য নেই। এটা জানলে সে আগেই তাকে নিয়ে আসত। যা শুনে রেগে যায় অগ্নি। তাকে জেলের মধ্যেই মারতে থাকে। সকলে মিলে তাকে আটকায়।
এদিকে জয়দীপ বিশ্বাস প্ল্যান করে ফেলে তাদেরকে নাকানি চুবানি খাওয়ানোর কথা। তিনি বলেন সেবা গঞ্জের কোন এক জায়গায় তার বাড়ি আছে যা সে জানে না। অগ্নিকে ভেঙে পড়তে দেখে কথা তাকে সামলাতে বলে অন্যদিকে সঞ্চিতার মনে পড়তে থাকে সে এইবারে ঠাকুর ঘরের সাথে অনেকটা জুড়ে রয়েছে। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে যাতে সঞ্চিতাকে সেই বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারে। অন্যদিকে অগ্নি ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে যাতে সে তার মায়ের সাথেই থাকতে পারে।
আরও পড়ুনঃ গু’রুতর অসু’স্থ রচনা বন্দোপাধ্যায়, বাতিল সব অনুষ্ঠান! তবে কি বন্ধ দিদি নাম্বার ওয়ান?
চিত্রা সেবাগঞ্জে গিয়ে একটি পরিবারের কাছে গিয়ে তাদেরকে অনেক টাকা পয়সা দেয় এবং তাদেরকে ফর্সা করে বলে দেয়, কোনোভাবে যেন ছায়া মাসিকে তারা তাদের কাজ ছাড়া না করে কোন রকম তার কথার অমিল হলেই তাদের খারাপ করে দেবে চিত্রা। এইদিকে কথা অগ্নি তারা পৌঁছে যায় সেবাগঞ্জে গিয়ে তারা যেহেতু ছায়া মাসির বাড়ি চেনে না। তাই লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে করে তারা খোঁজার চেষ্টা করে। খুঁজতে খুঁজতে তারা যখন ছায়া মাসির বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায় একজন বলে হ্যাঁ সে তার বোন যার আসলে ভেঙে পড়ে অগ্নি, একটি দোকানে গিয়ে জল কিনতে গিয়ে কথা দেখতে পায়। চিত্রা ওই বাড়িটির থেকেই বেরোচ্ছে যা দেখে কথার সন্দেহ হয়। মেজমা হঠাৎ করে সেবাগঞ্জেই বা কেন আসতে যাবে?