শেষ মুহূর্তে বাজিমাত! স্বতন্ত্রর এন্ট্রিতে বর্ষা-চন্দ্রের প্ল্যান চুরমার! গ্রেপ্তারের মুখ থেকে কমলিনীকে বাঁচাল স্বতন্ত্র! কমলিনীর বিপক্ষে পুরো পরিবার, পাশে দাঁড়াল একমাত্র মাসি! এবার কি ধরা পড়বে বর্ষা-চন্দ্র?

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনীর আলমারি থেকে পুলিশ সোনার গয়নার বাক্স উদ্ধার করে। এরপরেই চন্দ্র, বর্ষা এবং চন্দ্রের মা, সবাই মিলে কমলিনীকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে কমলিনীর পাশে দাঁড়ান চন্দ্রের মাসি। পুলিশের চোখে চোখ রেখে তিনি বলেন, কমলিনীর পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়!

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কমলিনীকে তার প্রথম থেকে পছন্দ না হলেও, পরে তিনি ঠিকই বুঝেছেন কমলিনীর দুঃখ। তিনি আরও বলেন, চন্দ্র ফিরে আসার পর কমলিনী যখন তাঁকে স্বীকার করবে না বলে, তখন প্রাথমিকভাবে তার কিছুটা রাগ হয়। এরপর সোহিনী চন্দ্রকে স্বামী বলে পরিচয় দিতে শুরু করলে, তিনি মুখে কিছু না বলে মনে মনে ঠিক জানতেন যে কমলিনী যা করছে ঠিক করছে।

যেহেতু কমলিনীর আলমারি থেকে বাক্সটা পাওয়া গিয়েছে, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য তাকে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যেতে চায়। এই অবস্থায় মিঠি আর বাবিল তাদের মায়ের হয়ে রুখে দাঁড়ায়। এমনকি কুর্চি এবং মিটিল দাবি করে, একজনের আলমারি থেকে বাক্স পাওয়া গেলেই সে দোষী বা অভিযুক্ত হয়ে যায় না, বিশেষ করে সে যখন ঘটনার সময় বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল।

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় বর্ষা-বুবলাই আর চন্দ্র কথা শোনাতে শুরু করে বাকিদের। চন্দ্র পুলিশকে পরোক্ষভাবে বোঝাতে থাকে কমলিনী আসল দোষী। পুলিশ কমলিনীর পরিচয় জানতে চাইলে চন্দ্র স্ত্রীর পরিচয় দেয়, কিন্তু কমলিনী তা অস্বীকার করে। এমন সময় স্বতন্ত্র উপস্থিত হয়ে বাড়িতে। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই কমলিনীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে শুনে, তিনি পুলিশকে অনেক কথা শোনান। উচ্চপদস্থ কর্মচারী তার বন্ধু হওয়ায়, ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানায় সে।

আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্যে হিন্দি গান ঘিরে উত্তাল টলিপাড়া ও দর্শক! ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ দেবলীনার ‘চণ্ডালিকা’ পরিবেশনায় ক্ষুব্ধ মানসী ও মালবিকা! ‘রবীন্দ্রনাথের অপমান! কবিকে নিয়ে নূন্যতম পড়াশোনা নেই!’ ‘অপসংস্কৃতির প্রবেশ!’– বলছেন বিশিষ্টরা!

পুলিশ এবার কমলিনীকে গ্রেফতার না করে, গয়না চুরির আসল অপরাধীকে খোঁজার কাজে লেগে পড়ে। বাড়ির সব আলমারি সিল করে দিয়ে যায় পুলিশ। কমলিনীকে ফাঁসাতে বর্ষা-চন্দ্র প্ল্যানে কার্যত জল ঢালা হয়ে যায়। পরদিন বাড়িতে মন বসছে না দেখে কমলিনী নতুনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। নতুন আবার নতুন জীবন শুরু করার প্রস্তাব দেয় তার সঙ্গে, কিন্তু সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হওয়ার ভয়ে কমলিনী আবার প্রত্যাখ্যান করে।