প্লুটোর অপমৃ’ত্যুতে পাগলপ্রায় অবস্থা অন্যন্যার, থানায় গিয়ে মিঠি-কমলিনীর নামে করল খু’নের অভিযোগ! মায়ের সঙ্গে স্বতন্ত্রর সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মিঠির! ‘চিরসখা’য় মেয়ের কথায় সম্পর্ক ছিন্নের ইঙ্গিত দিল কমলিনী!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, প্লুটোর মা অর্থাৎ অন্যন্যা সকাল সকাল হন্তদন্ত হয়ে ছুটে যাচ্ছেন রাস্তার দিয়ে। উষ্কখুষ্ক চুল, পরনে অগোছালো শাড়ী আর মানসিক অবস্থা বিদ্ধস্ত। এর দৃশ্য দেখে পাড়ার লোকেরা এগিয়ে এসে তাঁকে জানতে চায়, তিনি কোথায় যাচ্ছেন এমন করে! উত্তরে তিনি বলেন, যে তার ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে তাকেই শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছেন।

যাতে তাঁর সন্তানও চলে যায় দূরে। আক্ষেপ করে অন্যন্যা বলে, কত স্বপ্ন ছিল প্লুটোর যে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করবে কিন্তু মিঠি তাকে মরতে বাধ্য করেছে! পাড়ার লোকেরা জানতে চায়, বাড়ির কেউ অনন্যার বাইরে আসার কথা জানে কি না। অন্যন্যা বলে যে সে লুকিয়ে এসেছে, সবাই জানলে আসতে দিত না। অন্যন্যা চলে যেতেই সবাই তাঁর পাগলামি আর মানসিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করে।

অন্যন্যা এরপর থানায় গিয়ে বড়বাবুর কাছে মিঠি আর কমলিনীর নামে প্লুটোর খু’নের মামলার লিখিত অভিযোগ জমা দেন। বড়বাবু বুঝতে পারেন যে অনন্যার মানসিক অবস্থা ভালো নেই এত অল্প বয়সে ছেলেকে হারিয়ে, তাই এমন কাজ করছেন। তিনি তাও প্লুটোর আ’ত্মহ’ত্যা সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন অনন্যাকে। অন্যন্যা জানায়, মিঠিকে তার একদম পছন্দ ছিল না বলে সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে মৌয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে দিয়েছিল।

বিয়ের দিন মিঠির অপমান ছেলে আর সহ্য করতে পারেনি। পুলিশ বুঝতে পারে, অন্যন্যা অধিকারবোধই ছেলের কাল হয়েছিল কিন্তু অন্যন্যা হুমকি দেয় যে পুলিশ যদি তাকে বিচার না দেয় তবে তিনিও আ’ত্মহ’ত্যা করবেন। এদিকে অধরা মাধুরীতে কমলিনী মিঠিকে বলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাবে মন হালকা করতে। মিঠি বলে সে পাগল না, বরং প্লুটোর স্মৃতি নিয়েই বাঁচতে চায় বাকি জীবন। তবে প্লুটোর মতো ম’রে গিয়ে পালাবে না।

উল্টে মিঠি কমলিনীকে বলে, নিজের স্বভাব পরিবর্তন করতে। ইঙ্গিতে সে বোঝাতে চায় যে বাড়ির বাকিদের মতো তারাও আর ভালো লাগছে না মায়ের সঙ্গে স্বতন্ত্রর মেলামেশা। কমলিনী বলে, মিঠি এতদিন নিজেই স্বতন্তকে বাবার জায়গা দিয়ে এসেছে, তবে এখন কী হলো! উত্তরে মিঠি বলে, তাই বলে মা একজন পরপুরুষের সঙ্গে স্বামীর মতো থাকবে এই কথা কখনওই বলেনি সে। কুর্চি সামনে দাঁড়িয়ে এই কথা সহ্য করতে পারে না আর প্রতিবাদ করে।

আরও পড়ুনঃ “উড়ন্ত টাকা আর দুরন্ত নায়ক আমি চিরকাল এভয়েড করেছি!” “উত্তমদা বলতেন, তুই চোখে তাকাবি না, আমি কথা ভুলে যাই!”— মহানায়কের স্মৃতিচারণায় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের অকপট স্বীকারোক্তি! ফাঁস করলেন অজানা অনেক কথা, যেগুলি এতদিন ছিল গোপন!

কমলিনী জানায়, সমাজ চিরকাল তাঁকে অসম্মান করেই এসেছে, তবে মিঠির কথার দাম আছে তার কাছে। তাই মিঠি যদি না চায় আর স্বতন্ত্রর সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না সে। মিঠিকে কমলিনী আরও বলে, নিজের মাকে দুটো কথা শুনিয়ে যদি তার মন হালকা হয় তাহলে কমলিনী কিচ্ছু মনে করবে না। অন্যদিকে পুলিশ এসে হাজির সেখানে। বেবিলকে ডেকে দিতে বলা হয় কমলিনী আর মিঠিকে। পুলিশ জানায় ওদের বিরুদ্ধে খু’নের অভিযোগে আছে তাই জিজ্ঞাসাবাদ হবে।