স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী গ্রামের এদিক-ওদিক ঘুরে ছবি তুলছে। যদিও স্বতন্ত্র খুব চিন্তিত, গ্রামের লোকেদের সাপ সম্পর্কে সতর্কতা শুনে। কমলিনীকে সে বারবার বারণ করে বেশি দূরে না যেতে, এক পর্যায়ে কমলিনী ঠাট্টা করে বলে ফেলে যে জোর বেশি হলে প্রাণ হারাবে নাহয়।
স্বতন্ত্র খুব রেগে যায় এই কথায়, তারপর দুজনের মধ্যে ছোট্ট একপর্ব মনোমালিন্য হয়। পরে সবটা মিটে যায়, তারপর আবার দুজনে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যায়। কমলিনীকে এত খুশি দেখে মনে মনে স্বতন্ত্র বলে, একদিন কমলিনী এই ছবি তোলার তাগিদেই অনেক বড় মানুষ হবে। সেই দিন জয় হবে স্বতন্ত্রর, এতগুলো বছর বাদে কমলিনীকে এইটুকু আনন্দ দিতে পেরে সে খুব তৃপ্ত।
এদিকে কমলিনীও মনে মনে কৃতজ্ঞতা জানায় স্বতন্ত্রকে। সে বলে এতগুলো বছরে এমন প্রাণ খোলা নিঃশ্বাসে কোনদিনও নেয়নি, আজ সবটুকু সম্ভব হয়েছে স্বতন্ত্র জন্য। সবাই যখন কমলিনীর থেকে নিতে চেয়েছে, একমাত্র স্বতন্ত্রই তাকে দিয়েছে উজার করে। একে অপরের সুন্দর ছবি তুলে দেয় দুজনে। সন্ধ্যে নামতেই জোরে বৃষ্টি নামে, তাড়াহুড়ো করে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়েই ভিজে যায় দুজনে।
স্বতন্ত্র গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও, কমলিনী বলে সে ভিজতে চায়। এত বছর সে বৃষ্টিতে ভিজেনি, তারপর দুজনে প্রাণ খুলে গান-নাচ করতে থাকে বৃষ্টিতে। এত রাতে ভেজা জামা-কাপড়ে বাড়ি যেতে পারবে না দেখে, স্বতন্ত্র পরামর্শ দেয় যে রিসোর্টে গিয়ে জামা-কাপড় শুকিয়ে, খাওয়া-দাওয়া করে যত রাতেই হোক বেরোবে তারা। কমলিনী বাড়িতে যোগাযোগ করে এই ঘটনা জানাতে চায়।
আরও পড়ুনঃ শুভ উদ্যোগ! টলিউড বাঁচাতে ময়দানে বুম্বাদা! নিজের খরচে বানাচ্ছেন ১০০টি সিনেমা হল! কী এমন পরিকল্পনা নিচ্ছেন বুম্বাদা, যা বদলে দেবে বাংলার সিনেমা?
কিছুতেই কমলিনী র ফোন লাগে না, উল্টোদিকে কুর্চি আর মিঠিও কমলিনীর কথা ভেবে চিন্তিত। তারা অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বৃথা হয় সব চেষ্টাই। এদিকে কমলিনী চিন্তিত, মামলায় বিপক্ষের লোকেরা তাদের এই এক সঙ্গে রাত কাটানো নিয়ে আদালতে মিথ্যে গুজব ছড়াতে পারে। দু’জনে কোনও রকম রিসোর্টে পৌঁছে, সেখানে আগুনের ব্যবস্থা করে নিজেদের শরীর গরম করতে।