শুভ উদ্যোগ! টলিউড বাঁচাতে ময়দানে বুম্বাদা! নিজের খরচে বানাচ্ছেন ১০০টি সিনেমা হল! কী এমন পরিকল্পনা নিচ্ছেন বুম্বাদা, যা বদলে দেবে বাংলার সিনেমা?

টলিউডে আজ এক নতুন আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কোথাও হলের অভাব, কোথাও আবার ছবি দেখানোর সুযোগ না পেয়ে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিভা। ঠিক এই সময়েই খোদ ইন্ডাস্ট্রির ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এক পরিকল্পনা নতুন রূপ দিতে চলেছে গোটা বাংলা বিনোদন দুনিয়াকে।

শোনা যাচ্ছে, বাংলা ছবির উন্নতির স্বার্থে ১০০টি ছোট প্রেক্ষাগৃহ বা ‘মিনি থিয়েটার’ বানাতে চলেছেন প্রসেনজিৎ। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তৈরি হবে এই ‘মাইক্রো ফরম্যাট’ প্রেক্ষাগৃহ। যেখানে একসঙ্গে ৪০-৫০ জন দর্শক বসে ছবি দেখতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এই পরিকল্পনার কথা প্রথম শোনা যায়। তিনি নিজেই জানান, জাতীয় স্তরে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে চলেছেন অভিনেতা-প্রযোজক প্রসেনজিৎ। শুধু বিনোদনের প্রসারই নয়, এই উদ্যোগ বহু মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দেবে বলে আশাবাদী অনেকে।

অনেক দিন ধরেই বলা হচ্ছিল, বাংলায় সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটারের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। নবীনা প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার নবীন চৌখানি স্পষ্ট ভাষায় জানান, “এই পরিকল্পনা বহু বছর আলোচনার স্তরে ছিল। এবার বাস্তবায়নের পথে হাঁটছেন বুম্বাদা। খুবই খুশির খবর।” একই মত পরিবেশক শতদীপ সাহারও। তাঁর কথায়, “আমি নিজেও নতুন সিনেমা হল তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছি। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারলে খুশি হব।”

প্রযোজক-অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাও এই উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, “আমরা অনেক পরিকল্পনা করি, কিন্তু বাস্তবায়িত করতে পারি না। বুম্বাদা সেটা করে দেখাচ্ছেন। আজ বাংলা ছবির জগতে অনেক নতুন ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রেক্ষাগৃহ নেই। সেই অভাব পূরণে তিনি এগিয়ে এসেছেন।”

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই টলিপাড়ায় উচ্ছ্বাসের সাড়া। অনেকে মনে করছেন, বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ আবার নতুন করে গড়ে উঠবে এই উদ্যোগের মাধ্যমে। নবীন, শতদীপ এবং অঙ্কুশ—তিন জনেই জানিয়েছেন, তাঁরা প্রসেনজিতের পাশে আছেন এবং যেকোনো ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুনঃ জীতুর পোস্টের রোম্যান্টিক ক্যাপশনেই দিতিপ্রিয়ার অস্বস্তি! ক্যামেরার বাইরেও দূরত্ব বাড়ছে জীতু-দিতিপ্রিয়ার! দু’জনের মুখ দেখাদেখি থেকে কথাবার্তা সব বন্ধ! ধারাবাহিকের শুটিংয়েও কি পড়ছে প্রভাব? অবশেষে কি জানা গেল আসল কারণ?

এই উদ্যোগ শুধু নতুন হল গড়ে তোলা নয়, এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বার্তাও বহন করছে। বাংলা ছবি আবার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছবে, এমনটাই স্বপ্ন দেখাচ্ছে প্রসেনজিতের এই পদক্ষেপ। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—এই স্বপ্ন কতটা বাস্তব হয়, তা বলবে ভবিষ্যৎ। তবে আজ বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যেন ফের নতুন করে শ্বাস নিতে শুরু করেছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।