স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনী মিঠি আর বাবিলকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে বাপের বাড়ি। মা-বাবার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে কমলিনী দেখা করতে এসেছে, দেখে তারা খুব খুশি হন। কিন্তু মিঠি আর বাবিল উদযাপনের কথা তুলতেই দাদু-দিদা জানান, এই মুহূর্তে আদালতে কমলিনীর মামলা চলছে এবং এই নিয়ে মন খুব একটা ভালো নেই তাদের উদযাপন করার মতো।
এরপর কমলিনীর দাদা এসে খুব আনন্দ পায় বোন আর ভাগ্নে-ভাগ্নিরা এসেছে। বাবিল খোঁজ করে মৌ -এর। কমলিনীর দাদা কিছুটা বিরক্ত হয়েই জানায়, মৌয়ের বিয়ের তারিখ পাকা হয়ে গেছে, তাই সে এখন উড়ছে। মিঠিকে তিনি বলেন, বেঁচে গেছে ওই মেরুদণ্ডহীন ছেলেটাকে বিয়ে করেনি সে। মিঠি এই প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে বারণ করে সবাইকে, এই মুহূর্তে কমলিনীর পাশে দাঁড়াতে বলে সবাইকে।
কমলিনীও পাল্টা মিঠিকে বলে, যার যার লড়াই তাকে একাই লড়তে হয়। মিঠির লড়াই যেমন সে একাই লড়েছে, কমলিনীর লড়াইও তাকে একাই লড়তে হবে। এরই মধ্যে কুর্চি আর স্বতন্ত্র কেক, ফুলের মালা, এবং অনেক উপহার নিয়ে হাজির হয় সেখানে। কমলিনীর মা-বাবাকে দু’জনে যথাক্রমে শাড়ি, ঘড়ি, ব্যাগ এবং পাঞ্জাবি হাতে তুলে দেয়। কমলিনীর দাদা তার স্ত্রীকে রান্নাঘরে গিয়ে খাওয়ার বানাতে বলেন সকলের জন্য।
কিন্তু বৌদি পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, আজ থেকে কুড়ি বছর আগে হলে তিনি স্বামীর এক কথায় চলে যেতেন ঠিকই। কিন্তু আজ কোনওভাবেই বাড়তি লোকের জন্য রান্না করবে না সে। অপমানিত বোধ করে কমলিনী জানিয়ে দেয়, সে কোনও খাবার খাবে না। কিন্তু বৌদি অপমান থাকেন না, বরং কমলিনী এখনও চন্দ্রর স্ত্রী, আর আগ বাড়িয়ে স্বতন্ত্রর এত আয়োজন করাকে খোঁচা মেরে কথা বলতে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ জীতুর বিরুদ্ধে দিতিপ্রিয়ার বি’স্ফো’রণেই জেগে উঠল পুরনো ক্ষত, অভিনেতাকে ‘মিলন তিথি’ থেকে বাদ দেওয়ার কারণও ছিল এটাই! পোস্টে উষসীর লাইক নিয়ে দর্শকের সন্দেহ— মিলন তিথিতেও সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে অশা’লীন আচরণই কী ছিল অভিনেতার বাদ পড়ার নেপথ্যে?
কমলিনীর বাবা এবং দাদা স্বতন্ত্রকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে, তার কোন তুলনা হয় না এবং চারিদিকে এতো অন্ধকারের মধ্যেও কমলিনীর মুখে সে হাসি ফুটিয়েছে। কমলিনীর দাদা স্বতন্ত্রকে বলে, যারা তাকে কোনদিনও বোঝেনি তাদের কথায় পাত্তা না দিতে। স্বতন্ত্র আক্ষেপ করে বুবলাই এর প্রসঙ্গ তুলতেই, মৌয়ের কথা ওঠে। তারপর আবার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে।