কমলিনীর পাশে সোহিনী! চন্দ্রকে স্বামী হিসেবে স্বীকার করতেই থমকে গেল সবাই! অন্যন্যার মুখে ঝামা ঘষে দিল কমলিনীর দাদা! পরিবারের চোখে অপরাধী, একঘরে প্লুটো-মৌ!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় অন্যন্যাকে নতুন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, পরিস্থিতির চাপে পড়ে সে ডলকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তারপর ডলের যে রূপ সে দেখেছে, তাঁর পক্ষে এই বিয়েটা করা সম্ভব নয়। বরং নতুন চিরসখা কমলিনীর পাশেই থাকতে চায়। এদিকে কমলিনীর দাদাও জানিয়ে দেয়, যে তাঁর কোনও সমর্থন নেই প্লুটো আর মৌ এর বিয়েতে।

স্পষ্ট বলেন কমলিনীর দাদা, যে ছেলে তাঁর ভাগ্নির সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক রাখার পর অন্য মেয়ের দিকে আকৃষ্ট হয়, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার কারণ আছে। নিজের মেয়েকেও দোষ দিয়ে তিনি বলেন, মৌ এর পক্ষে কোনও কিছুই সম্ভব নয়। নিজের বোনের প্রেমিককে যে মেয়ে কেড়ে নিয়ে নিজের বড় বানায়, তাঁর সঙ্গে কোনও সস্পর্ক না রাখাই ভালো। একই সঙ্গে নতুনও বলে, যেহেতু প্লুটো তাঁর দাদার ছেলে, তাই বিয়েতে উপস্থিত থাকবে।

Anashua Majumdar

কিন্তু কোনও দায়িত্ব পালন করবে না, এমনকি বিয়ের পরেও কোনও সস্পর্ক রাখবে না। একদিকে ডলের সঙ্গে নতুনের বিয়ে ভাঙার কথা আর অন্যদিকে প্লুটোর বিয়েতে সবার আপত্তি দেখে অন্যন্যা ক্ষিপ্ত হয়ে কমলিনী আর মিঠিকে অপমান করতে থাকে। তাঁরই সঙ্গে যোগ দেয় মৌ-এর মা। নতুনকে উদ্দেশ্য করে কমলিনীর দিকে খারাপ ইঙ্গিত করেন তিনি। নতুন তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করে, তাঁকে অপমান করার অধিকার কারোর নেই।

খুব তাড়াতাড়ি এমন সময় আসছে, কেউ কমলিনী আর তাঁর দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। এরপর কমলিনীরা বাড়ি ফিরতেই শুরু হয় নতুন অশান্তি। বুবলাই আর চন্দ্র জেরা করতে শুরু করে মিঠি আর কমলিনীকে, কোথায় গেছিল জানতে। কোনও উত্তর না দিয়ে, মিঠি প্রতিবাদ করায় বুবলাই তাঁর দিকে তেড়ে যায়। এমন সময় মিটিল উপস্থিত হয় কমলিনীকে বলে, এখনও কেন বুবলাইরা এই বাড়িতে আছে।

আরও পড়ুনঃ “প্রতিমাসে নতুন গান নয়, চাই মনে রাখার মতো গান!” “রেওয়াজ নেই, শিক্ষা নেই, জনপ্রিয়তার লোভে শুধু স্টেজে ছুট!”—উঠতি গায়কদের নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঙ্গীতশিল্পী শুভমিতা ব্যানার্জির!

এরপর কমলিনী চন্দ্র আর বুবলাইদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। বুবলাই বরাবরের মতোই নতুনকে দিয়ে কমলিনীকে অপমান করে। এই বাড়ি তাঁর মাকে নতুন কিছুর বিনিময়ে দান করেছে, ইত্যাদি খারাপ মন্তব্য করতে থাকে। এমন চরম উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে হাজির হয় সোহিনী। চন্দ্র কিছু বলে ওঠার আগেই, সোহিনী স্বীকারোক্তি দেয় কমলিনীকে। সোহিনী জানায়, চন্দ্র তাঁর স্বামী এবং সন্তানের বাবাও!