স্টার জলসার (Star Jalsha) শুভ বিবাহ (Subho Bibaho) ধারাবাহিক আরম্ভ হবার পর থেকেই সবার মন দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে ধারাবাহিক যে গতিতে চলছে, তাতে দর্শক মহলের আশা খুব শীঘ্রই বেঙ্গল টপার হতে পারে সোনামণি। মেগায় আসছে একের পর এক চমক। প্রত্যেকটি চমক দর্শক মহলের মন জয় করে নিচ্ছে। প্রথম থেকেই দেখা গেছে সুধার প্রতিদ্বন্দ্বী ইমনকে। এবার তাকে জবাব দিতে কোমর বাঁধলো সুধা।
শুভ বিবাহ আজকের পর্ব ২৫শে সেপ্টেম্বর | Subho Bibaho Today Episode 25th September
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে প্রথমেই দেখা যাবে বিচারকদের সামনে তেজদের ফ্যাক্টরির পুজো পন্ড করতে ইমন ও তার মা ইলেকট্রিকের মেন লাইনের তার কেটে দেয়। পুজোর দিনে হঠাৎ করে লাইট চলে যাওয়ায় খুব বিপদে পড়ে তেজরা। ঠিক তার কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে উপস্থিত হন বিচারকেরা। কিন্তু তারা এসে পুরো ফ্যাক্টরি অন্ধকার দেখলে সেই পুজোকে প্রতিযোগিতা সরাসরি ডিসকোয়ালিফাই করার কথা বলে। আর ঠিক তখনই সুধা বাধা দেয় বিচারকদের। ঠিক সেই সময় সমুদ্র ও ঝিনুক মিলে ডেকে নিয়ে আসে ইলেকট্রিশিয়ানদের। আর এসে মেন লাইন-এর কাজ ঠিক করতে থাকে। সুধা নিজের বুদ্ধি দিয়ে বসু মল্লিক পরিবারের মান রক্ষা করে। সুন্দর আরতি আয়োজন করে বিচারকদের অবাক করে দেয় সে।
দেবতার আরতি শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গেই চলে এই লাইট। কিন্তু তার আগে অন্ধকারের মধ্যে ইমনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নেয় সুধা। ইমন দাঁড়িয়েছিল জলের মধ্যে কালি মিশিয়ে গণেশ মূর্তি নষ্ট করার জন্য। সুধা ইমনকে চিনতে না পারলেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ফেলে। সুধা ইমনের হাত ধরে টানতে টানতে তাকে নিয়ে আসে ফ্যাক্টরির ভিতর। অন্য দিকে, লাইট আসার পর বিচারকেরা পুজোর সব আয়োজন ও গণেশ ঠাকুরের মূর্তি দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়। ইমনকে চেপে ধরে সুধা, ঝিনুক এবং সমুদ্র। কিন্তু ইমনের মুখ ওড়না ঢাকা ছিল। তাই কেউ তাকে প্রথমে চিনতে পারেনা।
এদিকে দেখা যায়, সুধার জন্য সুধার মা চিন্তা করতে থাকে। কি করে তেজ তাদের সঙ্গে এত বড় একটা ঘটনা ঘটালো সেটাই শুধু ভাবতে থাকে তারা। কিন্তু সুধার দাদা এবং ভাই মিলে সুধার মাকে সমানে বোঝাতে থাকে যে এই কাজ মোটেই তেজের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তেজ এরকম ছেলে নয়। সে খুবই ভাল ছেলে। সুধার জেঠিমা এবং বৌদি মিলে আবার নতুন ফন্দি আঁটতে থাকে।
আরও পড়ুন: সূর্যের জীবনের নতুন নারীর দৌলতেই মুখোমুখি সোনা আর দীপা! এত বছর পর মেয়েকে চিনতে পারল না তার মা, নতুন কি চাল চালবে সোনা?
এরপর দেখা যায় সুধা একটানে ইমনের মুখের থেকে ওড়না সরিয়ে দেয়। আর ওড়না সরতেই তাকে চিনতে পারে। কিন্তু ইমনের মধ্যে এতটুকু অপরাধবোধ কাজ করে না! উল্টে সে সুধাকে ক্রমাগত অপমান করতে থাকে। এসব দেখে ঝিনুক মোক্ষম কাজটি করে। ইমনের বানানো কালি মেশানো জল সবটাই ইমনের মাথায় ঢেলে দেয় সে। আর সেই সব ঘটনা দূরে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে ইমনের মা।