‘এত ন্যাকামি দেখলে তো ফুচকাও ভেঙে যাবে!’ সাহেবের হাতে ফুচকা খেয়ে সুস্মিতার আদুরেপনা দেখে তীব্র কটাক্ষ নেটপাড়ার

পয়লা বৈশাখে বাঙালির ঘরে ঘরে উৎসবের রঙ। আর ছোটপর্দার ধারাবাহিকগুলোর তো কথাই নেই! এবার যেমন স্টার জলসার ‘কথা’ (Kothha) আর ‘তেঁতুলপাতা’ (Tetulpata) একসঙ্গে ধুমধাম করে ‘মহাপর্বে’ নববর্ষ পালন করল। হাসি-মজা, জমজমাট মেনু, মিষ্টি আর তারকাদের ভরপুর উপস্থিতি সবই ছিল তালিকায়। রোল থেকে শুরু করে ফুচকা, চপ থেকে শুরু করে চাওমিন সবরকম খাওয়ার দাওয়ারের ব্যবস্থা ছিল। তবে আসল আকর্ষণ ছিল একটিই দৃশ্য— ‘সাহেব ভট্টাচার্যে’র (Saheb Bhattacharya) হাতে ফুচকা খাচ্ছেন ‘সুস্মিতা দে’ (Susmita Dey)। তাতেই বেজায় উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে সমাজ মাধ্যম, অবশ্য প্রশংসায় নয়, ট্রোলে!

এই উৎসবেই আবার ট্রোলারদের খোরাক জোগালেন ‘কথা’ ওরফে সুস্মিতা দে। কারণ একটাই—ফুচকা খাওয়া! তবে নিজে হাতে নয়, আদর করে ফুচকা খাইয়ে দিচ্ছেন ‘এভি’ সাহেব ভট্টাচার্য। আর সেটাই তো যত ন্যাকামির মূল! ফুচকা খাওয়ার মত একটা অতি সাধারণ বিষয় যে এভাবে সুস্মিতার জন্য কাল হয়ে যাবে তা হয়তো তিনি কখনোই ভাবেননি। বরাবরের মতো এবারও ট্রোলের মুখে পড়লেন সুস্মিতা। এত বড় সুযোগ কেই বা হাতছাড়া করতে চায়, ট্রোলাররা তো রীতিমতো মুখিয়ে থাকেন একটা সুযোগের জন্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।

একজন যেমন লিখেছেন, “সব সময় সুস্মিতাকে সাহেবের বেবিসিট করতে লাগে। এমন বাচ্চা বাচ্চা সেজে থাকার কারণ কি বুঝি না।” অন্যজন তো সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, “বয়স তো অনেকই হল আর কত কচি সাজবেন?” বরাবরের মতো একটা কমেন্ট তো সবচেয়ে বেশি দেখা গেল, “এই মেয়েটাকে বড্ড ন্যাকা লাগে, মোটে সহ্য করা যায় না। সব সময় সাহেবের গায়ে পড়া।” আরেকজন লিখেছেন, “এত ন্যাকামি করার কি আছে? নিজেরও তো হাত আছে, সেটা দিয়েই বরং খেলে পারতেন। অন্যের হাতটা কি একটু বেশি পছন্দ?”

বাঙালির প্রিয় ফুচকা যে এমন একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারে, সেটা কল্পনারও অতীত। সুস্মিতার ফুচকা মুখে দেওয়ার সেই ভাইরাল দৃশ্য এখন নেটদুনিয়ার এক নতুন কৌতুকের বিষয়। কেউ লিখছেন, “ফুচকা মুখে দেওয়ার অভিনয় না করে সোজা বলেই দিক—হাতের ফুচকা না, হৃদয়ের ফুচকা চাই!” এতদিন ‘কথা’র কাঁদুনে দিক নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন দর্শকের একাংশ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ‘ফুচকা প্রেম’। একজন সরাসরি মন্তব্য করেছেন, “এত ন্যাকামি দেখলে তো ফুচকাও ভেঙে যাবে।”

আরেকজন বলেছেন, “এই মেয়েটা সিরিয়ালেও ন্যাকা, বাস্তবেও ন্যাকা। এক্সপ্রেশন একটাই, আর সেটা হচ্ছে আদুরে বাচ্চার মতো গলা করে প্রেম দেখানো।” কারো মতে আবার, “এরা দু’জনে যেন একটা সিরিয়ালের মধ্যে নয়, বরং নিজেরাই একটা সিরিয়াল। সব দৃশ্যে দু’জনের এমন বাড়াবাড়ি প্রেম মানে সিরিয়ালের গল্পটাই ঢেকে যাচ্ছে।” সব মিলিয়ে বলা যায় পর্দায় যেমন দুজনের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি সবার নজর কেড়েছে পর্দার বাইরেও সমানতালে সেই ধারা অব্যাহত।

আরও পড়ুনঃ একদিকে শুভ-আদৃতের পুনর্মিলনে চোখে জল, অন্যদিকে মোহনা-আকাশের অসম্পূর্ণ ভালোবাসা আর আত্মত্যাগ! “গৃহপ্রবেশ”-এ মোহনা-আকাশ কি এবার খলচরিত্রে পরিনত হবে?

সবশেষে বলাই যায় নববর্ষের শুভেচ্ছা আর মিষ্টির সাথে সুস্মিতা-দে এর কপালে জুটেছে এক হাড়ি ট্রোল! অভিনেত্রী অবশ্য এসব বিষয় নিজেকে জড়ান না। অতীতেও কোনো রকম প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথায় দেননি। তবে মজার বিষয় হল, যতই ট্রোল আসুক, সুস্মিতা দে-র এই রকম ন্যাকামি হোক কিংবা সাহেবের আদর, দর্শক দেখছে, বলছে, শেয়ার করছে। কেউ ভালোবাসছে, কেউ সহ্য করতে পারছে না। কিন্তু যেটা হচ্ছে না, সেটা হচ্ছে উপেক্ষা।