ডিভোর্সি শব্দটা আমাদের সমাজের তকমার মতো! সেটার বিরুদ্ধেই লড়াই ‘শুভ বিবাহ’র! অকপট সোনামনি

স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক শুভ বিবাহ দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। ধারাবাহিকের প্রথম থেকেই দর্শকদের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। শুভ বিবাহ ধারাবাহিকের মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন হানি বাফনা ও সোনামণি। ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে দর্শকদের নানান বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

এই ধারাবাহিক কি বার্তা সমাজে পৌঁছে দিচ্ছে, সে কথা বলতে গিয়ে হানি বলেন, “প্রথমেই মনে হয়েছিল খুব আলাদা রকম গল্প। একজন ডিভোর্সি মেয়ে সুধাকে মন দিয়ে বসে। তেজ এই বিয়েটা করতে রাজি হয়। সুধা ডিভোর্সি এ কথা জেনে রেগে গেছে নায়ক, কারণ তেজ মিথ্যে সহ্য করতে পারে না। খুব রিস্কি একটা গল্প। দশর্কদের টেস্ট বোঝা খুব কঠিন বিষয়। স্টার জলসা বলেই এই রিস্কটা নিয়েছে। ডিভোর্সি মানেই তার সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয় এই বার্তাটাই ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

ধারাবাহিক সম্পর্কে বলতে গিয়ে সোনামণি বলেন, “আমাদের সমাজে এই বিষয়টা খুব সেনসিটিভ। বিশেষত বাঙালিদের মধ্যে। প্রথমত এই বিষয়টা যখন আমার কাছে এলো, চরিত্রটা এতটা কঠিন,‌ এতটা ভারী, সুধা চরিত্রের সাথে আমি কারোর মিল পাইনি। আমি চরিত্রটা বুঝে কাজ করার চেষ্টা করছি।”

সমাজে একটা কঠিন কথা ‘ডিভোর্সি মেয়ে’, এটা একটা তকমা বলা চলে। সোনামণি ডিভোর্সি মেয়ে শব্দটিকে বা আদতে কিভাবে দেখেন এই ব্যাপারটিকে, প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “আমাদের সমাজে এটা একটা তকমার মতো। আমার মনে হয় এই তকমার চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না। রাত কাটলেই ভোরের সূর্যটা দেখা যায়। যেসব মেয়েরা এমন সিচুয়েশনের মধ্যে দিয়ে গেছে তাদের পরবর্তীকালের কথা চিন্তা করা উচিত। ভোরের সূর্যটা কতটা ভালোভাবে উঠবে সেটা নিয়ে ভাবা উচিত। আসতে আসতে সমাজ বদলাচ্ছে আমি চাই আর‌ও বদলাক।” ঠিক এই প্রসঙ্গেই কি বলছেন অভিনেতা? হানি বাফনা বলেন, “বাকিদের মতো জিনিসটাকে দেখিনা। কারণটা জানার চেষ্টা করব, মানুষটাকে বোঝার চেষ্টা করব।”

আরও পড়ুন: সুধার অপমান সহ্য হয়না তেজের! দ্বিরাগমনে সুধার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালো তেজ বসু মল্লিক! কাছাকাছি আসছে তেজ-সুধা

ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে দর্শকদের বিপুল পরিমাণে ভালোবাসা পাচ্ছেন তারা। সে কথাই সাক্ষাৎকারে জানিয়ে বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে সিরিয়াল থেকে ভালো বার্তা যাচ্ছে। সকলের এত ভালোবাসা পাচ্ছি। তার মানে লোকে ব্যাপারটা বুঝছে। দর্শকদের খুব ভালো লাগছে, গল্পটা এতটা ভালো। আর পাঁচটা ধারাবাহিকের থেকে অনেকটা ম্যাচুয়োর গল্প। এই ধরনের গল্প আগে কোথাও হয়নি বলেই জানি। কাজ করে যদি আমার মনের মধ্যে টাচ করতে পারে গল্পটা, তাহলে দর্শকদের অবশ্যই ভালো লাগবে।” সোনামণির ধারাবাহিক মানেই অল্পদিনে টিআরপি তুঙ্গে, এটার ইউএসপি কী! সোনামণি মনে করছেন “দর্শকদের ভালোবাসাই সব”।

 

Back to top button